চিড়িয়াখানার রক্ষীকে মেরে সিংহকে নিয়ে পালাল সিংহী, অতঃপর…
জোর করে খাঁচায় বন্দি রাখা হয়েছিল তাকে আর তার সঙ্গীকে। মন থেকে মানতে পারেনি সে। খাঁচায় কতক্ষণই বা মন টেকে! এভাবেই কেটেছে এক বছরেরও বেশি সময়। শেষ পর্যন্ত দ্বাররক্ষীকে মেরে সঙ্গীকে নিয়ে চম্পট। না, কোনও মানব যুগলের কথা হচ্ছে না। এটি পশুরাজ ও তার সঙ্গিনীর কথা। ইরানের একটি চিড়িয়াখানায় ঘটেছে এমনই কাণ্ড।
বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা বলে, দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা ঘুমায় এক একটি পূর্ণবয়স্ক সিংহ। কিন্তু সিংহীরা কতক্ষণ ঘুমায় জানা নেই। ইরানের আরাক শহরের চিড়িয়াখানায় কয়েক বছর ধরে একটি খাঁচায় রাখা হয়েছিল একটি সিংহ ও একটি সিংহীকে। সারা দিন ঘুমাতে পেরে সিংহ বিশেষ উচ্চবাচ্য না করলেও সিংহী প্রথম থেকেই হুঙ্কারে গর্জনে পাড়া মাথায় করতে থাকে। বনের রানিকে কি খাঁচায় আটকে রাখা চাট্টিখানি কথা! এভাবেই কাটে একটি বছর। কিন্তু হাল ছাড়েনি সিংহী। একদিন সুযোগ পেয়ে দ্বাররক্ষীর ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে। থাবার অভিঘাতের অনিবার্য পরিণতি অনায়াস মৃত্যু। অতঃপর, ভিতরে ঘুমে বিভোর সঙ্গীকে তুলে নিয়ে মুহূর্তে উধাও সিংহী।
এদিকে খাঁচা ভেঙে, রক্ষীকে মেরে সিংহ-সিংহী পালিয়েছে শুনেই আরাক শহরে সতর্কতা জারি করা হয়। যুগলের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে বন্যপ্রাণ বিভাগের দল। ছুট লাগায় পুলিশও। অনেক খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে আরাক শহরের একে বারে প্রান্তিক এলাকায় খোঁজ মেলে তাদের। আবার খাঁচাবন্দি হয় সিংহ যুগল।
সূত্র: ফ্রান্স২৪
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)