‘বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্সের কোনো রোগী ধরা পড়েনি’
বাংলাদেশে এখনো কোনো মাঙ্কিপক্সের রোগী ধরা পড়েনি বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঙ্কিপক্স নিয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, গতকাল (সোমবার) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঙ্কিপক্সের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। যা ছিল নিছক একটি গুজব। বিষয়টি প্রথমে আমাদের নজরে আনেন গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল কিছু সংখ্যক সাংবাদিক ভাইয়েরা। তাদের এ তথ্যে আমাদের প্রশাসন আরো তৎপর হয়। এরপর আমরা খোঁজ নেওয়া শুরু করি আসলে কী ঘটেছে।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, গুজব রোধ এবং গুজব রটনাকারীকে খুঁজে পেতে গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্র্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের কাছে মৌখিকভাবে সহযোগিতা চাওয়া হয়। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের তড়িৎ পদক্ষেপে আমরা জানতে পারি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. আসিফ ওয়াহিদ অর্কের বরাতে সংশ্লিষ্ট গুজব পোস্ট হয়, পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করি। তবে ডা. আসিফ ওয়াহিদ জানান এমন কোনো ঘটনা তিনি জানেন না। তিনি এমন পোস্টও করেননি।
তিনি আরও বলেন, ডা. আসিফ ওয়াহিদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের নতুন ভর্তিকৃত রেসিডেন্ট হলেও কোনো ক্লাস করেননি। যার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা তাকে ট্রেস করতে পারিনি। তিনি ৩৯তম বিসিএসের স্বাস্থ্য ক্যাডার।
উপাচার্য বলেন, করোনা মহামারিকে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে মোকাবিলা করেছি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে যেভাবে বাংলাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দেইনি, সেরকমভাবে আমরা মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের জন্যও প্রস্তুত আছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)