শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ার হাট-বাজারে রূপালী ইলিশ এখন রূপ কথার গল্প

যার নাম শুনলে বাঙালীর জিভে পানি এসে যায়। সাধারণ মানুষের এখন তা চোখে দেখা পাওয়া দুস্কর। আর আজকের প্রজন্মের নিম্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুরা তা চিনে না বললেও ভুল হবে না। হ্যাঁ বলছিলাম বাংলাদেশের রুপালী ইলিশ মাছের কথা। আজকের শিশুর কাছে রুপালী ইলিশ রুপ কথায় পরিণত হতে চলেছে।

ষাট ও সত্তরের দশকে জৈষ্ঠ্য মাসের শেষে কলারোয়ার গ্রামে গঞ্জের হাট বাজারে রুপালী ইলিশ আসা শুরু হয়ে যেত। আর বর্ষাকাল থেকে শরৎকালের শেষ অবধি মাঠঘাট নালা ডোবায় পাওয়া মলাঢেলা, কই, শিং, মাগুর, চ্যাং, বেতল, শোল, ট্যাংরা, বাইন সহ নানা প্রকার মাছে গ্রামের মানুষের বাড়ি ভরে থাকত। বাড়তি মাছ পাওয়ার কারণে পুটি আর চিংড়ির শুটকি তৈরি করা হত।

বাড়িতে এসব মাছ থাকার পরেও রসনা বিলাসী বাঙালী বাড়ি রুপালী ইলিশ ছাড়া চলে কি। গ্রামের হাট বাজার গুলো ভরে যেত ইলিশে। হাটের দিনে বাড়ি বাড়ি আনা হত রুপালী ইলিশ। প্রতি হাটের দিন সন্ধার পরে ইলিশের মনোলোভা সুগন্ধে পাড়া মহলাগুলো সুবাসিত হয়ে পড়ত। আর সকালে ভাজা ইলিশ নয়, পান্তা ভাতের সংগে ইলিশের ঝোলে জমে উঠত খাওয়ার আনান্দ। আর অনেক পরিবারে পরদিন ঝোলের ইলিশ মাছ আগুনে শুকিয়ে সেই ইলিশ দিয়ে মজাদার সব তরকারী রান্না খাওয়া হত। আর দুই আড়াই কেজি ইলিশের তেলের মজা ছিল আলাদা। তখন কলারোয়ার পর্ব সীমানা দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদে মাঝে মাঝে কৃষক আর জেলের জালে ইলিশ ধরা পড়ত। তাই প্রায় আশ্বিন মাসের শেষ অবধি গ্রামের বাঙালী পরিবারে চলত ইলিশ খাওয়ার ধুম। কিন্তু আশির দশকের শেষ ভাগে এসে গ্রামের হাট বাজারে ইলিশে ভাটা পড়তে শুরু করে। আর দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে থাকে।

২০০০ সালের পরে ক্রমান্বয়ে ইলিশ মাছ দূস্প্রাপ্য হয়ে উঠে। একদিকে মূল্য বৃদ্ধি; অন্যদিকে দুস্প্রাপ্যতার কারণে ইলিশ একেবারে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যায়। এখন গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারে বছরে ১/২ দিনের বেশী ইলিশের দেখা মেলে না। কিছু চাকরীজীবি আর গ্রামের ৫/১০ জন ধনাঢ্য পরিবার এর ক্রেতা। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সেই ইলিশ কেনা সম্ভব হয় না। ফলে আজকের প্রজন্মের বেশীর ভাগ শিশু ইলিশ মাছ চিনে না। কোন দিন ইলিশ মাছ দেখেনি। মজাদার সুস্বাদু ইলিশ তাদের কাছে রুপকথার গল্প।

জাটকা শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার পরে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির খবর প্রচারে মানুষের মনে আবার আশা জাগে। কিন্তু শাকদা গ্রামের ৮০ বছরে প্রবীণ ইসলাম, দাড়কির ৭০ বছরের বৃদ্ধ শওকাত, সোনাবাড়িয়ার আজিজ (৭৯) আবার লোভাতুর হয়ে পড়ে মজাদার পান্তা ইলিশ, ভাজা ইলিশ, ইলিশ পোলাও খাওয়ার আশায়। কিন্তু ইলিশের দাম কমেনি। সেই সংগে দুস্প্রাপ্যতা প্রকট। ইলিশ পেতে হলে শহরে যেতে হয়। তাই প্রবীণ মানুষগুলোর ইলিশ খাওয়া দূরাশায় পরিণত হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ার মুরারীকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পরিচিত সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলারোয়ার মুরারীকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির পরিচিত সভাবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় যুবদের হুইসেল ব্লোয়ার হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ সভা অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় কলারোয়া উপজেলার কলারোয়া পৌরসভা হল রুমে রূপান্তরের আস্থাবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় সমবায় সমিতির সদস্যবৃন্দের অংশগ্রহনে দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ

জুলফিকার আলী : কলারোয়া উপজেলাধীন বিভিন্ন সমবায় সমিতির সদস্যবৃন্দের অংশগ্রহনে এক দিনেরবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় সাহিত্য পরিষদের সভায় নব গঠিত কমিটি গঠন
  • কলারোয়ায় আনারস প্রতীকের বিশাল নির্বাচনী মিছিল ও সমাবেশ
  • চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান
  • সাতক্ষীরায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পেলো সততা সংঘের টাকা
  • বছরের পর বছর অনুপস্থিত থাকায় কলারোয়া আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা বেলালী চাকুরীচ্যুত
  • কলারোয়ার দেয়াড়া হাইস্কুলের সভাপতি হলেন শরিফুল ইসলাম
  • কলারোয়ায় কদর বেড়েছে দুলালের দইয়ের
  • কলারোয়া উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ
  • ঢা.বি’তে কলারোয়ার শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘সোনাই’র নয়া কমিটি
  • কলারোয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক মতবিনিময় সভা
  • কলারোয়ায় কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল কার্যলয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
  • সিএজি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কলারোয়ায় আলোচনা সভা