আশাশুনিতে ২টি মৌজায় রায় ডিক্রি মূলে জমি জবর দখল, থানায় অভিযোগ
জি,এম আল ফারুক, আশাশুনি: আশাশুনিতে ২টি মৌজায় রায় ডিক্রি মূলে জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে কোদন্ডা গ্রামের মৃত মাদার গাজীর পুত্র রহমতুল্লাহ গাজী বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় আদালতপুর গ্রামের মৃত করিম শেখের পুত্র শেখ নজির উদ্দীনকে অভিযুক্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রহমত উল্লাহ গাজী বড় দূর্গাপুর মৌজায় ও কোদন্ডা মৌজায় ৫৫ বিঘা জমি বিজ্ঞ সাতক্ষীরা ২য় মুনসেফী আদালতের দেওয়ানী ৩৫৪/৭২নং মামলায় ২৮/০৯/১৯৭৫ তারিখের রায় ডিক্রি মোতাবেক ১৮.৩০ একর জমি যা বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল সাতক্ষীরা আদালতে এল,এস কেস নং-৬৭৪/২০ কেসে কোদন্ড মৌজায় ৫.২৫ একর জমি রায় ডিক্রি প্রাপ্ত বাকী দুর্গাপুর (বড়) মৌজার ১৩.০৫ একর জমির মামলার প্রস্তুতি চলছে। মোট ১৮.৩০ একর নালিশী জমি শেখ নজির উদ্দীন গংরা ২০১৫ সাল হইতে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ৫ বছর ১৩.০৫ বড় দূর্গাপুর মৌজার জমির লীজ নেওয়ার সময় ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮২৫ টাকা প্রদান করেন। বাকী ৯ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওনা থাকে। ২০১৮ সালে বকেয়া হারীর চাপ সৃষ্টি করলে হারীর টাকা প্রদানের কথা বলে সকল বিবাদীরা আমাকে মৎস্য ঘেরে ডেকে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করে একটি স্ট্যাম্প ও ৪টি রেভিনিউ স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক সহি করতে বাধ্য করে। আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় আমার বাড়ী পাশে ফেলে রেখে যায়। আমার বাড়ীর লোকজন আমাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করে। একপর্যায়ে নজিরুদ্দীন গংরা পুনঃ ডিড নিতে চাপ দিলে আমি আমার জোরপূর্বক সহি দেওয়া স্ট্যাম্প বাতিল করার শর্তে রাজি হয়ে পুনঃরায় ২০১৯ হইতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২০ বিঘা জমি ডিড প্রদান করি। বিবাদীরা আমার দুই মৌজার ৫৫ বিঘা জমি জবর দখল করে নিয়েছে। আমি বিবাদীদের নিকট আমার পাওনা ৩০ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা চাইলে
বিবাদীরা ০৬/০৮/২৪ তারিখ ৫ঘটিকার সময় আমার বাড়ীর সামনে রাস্তায় এসে হারীর টাকা দেবে না বলে হাকাইয়া দেয়।
রহমতুল্লাহ গাজী আরও জানান, এদিকে উদুরপিন্ডি বুদুর ঘাড়ে চাপিয়ে আমার নামে পত্রদুত, সাতনদী, নাগরিক ভাবনা, যুগের বার্ত ও ফেসবুকে ১ ও ২ সেপ্টেম্বর সরকারি ইজারাকৃত আশাশুনি হাড়িয়াখাল জলমহল দখলের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে আমি ভুমিদুস্য নজিরুদ্দীনের হাত থেকে পরিত্রান পেতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)