আশাশুনির খাজরায় আদালতে বিচারাধীন জমি দখল নিতে বাদী পক্ষকে হুমকির অভিযোগ
আশাশুনি উপজেলার খাজরা গ্রামে ভোগদখলীয় পৈত্রিক ভিটেবাড়ীর জমি নিয়ে আদালতে মামলা চললেও জবর দখল নিতে বাদী পক্ষকে হুমকীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাজরা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ গাজীর ছেলে আঃ রাজ্জাক গাজীসহ অন্য বাদীরা জানান, তারা বংশ পরম্পরায় ৪০ শতক জমিতে ঘরবাড়ি গাছগাছালী লাগিয়ে দীর্ঘকাল বসবাস করে আসছেন।
এখানে ১৮ শতক জমি বিবাদী মোকিম গাজীর কন্যা ফাতেমার পাওনা আছে, পক্ষান্তরে তাদের দখলীয় স্থানে আমাদের ১৮ শতক জমি রয়েছে, যা বিবাদীরা দখল করেন। আমরা মুর্খ ও স্বামী-স্ত্রী সবাই খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের অজান্তে সমুদয় জমি তাদের নামে রেকর্ড হয়ে যায়। সেই থেকে বিবাদীরা আমাদেরকে নানা ভাবে হয়রানী, জমি জবর দখল চেষ্টা, মারপিট ও হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে। আমরা বিজ্ঞ আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে দেং ৯৬/২০০০ নং মোকদ্দমায় গত ১৭/৫/২২ তাং ভ্রমাত্মক রায় ও ২৪/৫/২২ তাং ভ্রমাত্মক ডিক্রীর দ্বারা বাদী/আপীলকারী পক্ষ ক্ষুব্ধ, ব্যাথিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় উক্ত রায় ও ডিগ্রীর বিরুদ্ধে আপীল করি। দেং আপীল মামলা নং ৬৫/২০২২। বিজ্ঞ আদালত আপীল গ্রহন করেন এবং মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ভাবেও বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও ফাতেমা দিং সেখানে তাদের পক্ষের কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। ইউনিয়ন পরিষদে ধার্য দিনের আগেই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রকাশ করিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে দাবী করে তারা আইন আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় তাদের উপর বিবাদী পক্ষের রক্তচক্ষু, ষড়যন্ত্র ও হুমকী ধামকীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসন, আইন আদালত ও জন প্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)