ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে
আশাশুনির শোভনালীতে আ.লীগের-৪, জাপা-১, জামায়াত-১ ।। বিএনপির দেখা নেই
আশাশুনির শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা চলছে বেশ জোরে শোরে। ইতিমধ্যেই দোয়া চেয়ে বিলবোর্ড টানানো, মতবিনিময় সভা, উঠান বৈঠাক ও গণসংযোগ করার মাধ্যমে অধিকাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থীই তাদের প্রার্থীতার জানান দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর দেখা মিলেছে। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের-৪, জাতীয় পাটি-১, জামায়াত-১, মোট ৬জন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
এদিকে ৫ জন প্রার্থীর অধিকাংশই প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, নির্বাচনী সভা করে চলেছেন। ওয়াজ মাহফিল, জানাজা নামাজ, পূজা-পার্বন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান, খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অনুরুপ বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহনের মাধ্যমে ভোটারদের আস্থাভাজন হওয়ার চেষ্টা করছেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন চায়ের স্টল, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় আর রাজনীতি সচেতন মানুষের মুখে মুখেও চলছে আগামী ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলাপ আলোচনা।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, আগামী ইউপি নির্বাচনে শোলনালী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের ৪ জন প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।
তারা হলেন- শোভনালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বর্তমান নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রভাষক ম.ম মোনায়েম হোসেন, উপজেলা আ.লীগের সেক্রেটারী শম্ভুজিৎ মন্ডল, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক সঞ্জয় কুমার দাশ, ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা নজরুল ইসলাম গাইন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মনিরুজ্জামান ডালিম ও উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আবু বক্কার সিদ্দিক।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমানে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান, আশাশুনি উপজেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারী ও আশাশুনি মহিলা কলেজের প্রভাষক ম. মোনায়েম হোসেন জানান- বিগত ৫ বছর সুনামের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে ইউনিয়নের সাধারন মানুষের কল্যানে অসংখ্য রাস্তাঘাট, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা ও করোনা কালীন সময় মানুষের পাশে থেকে সরকারি বেসরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা করেছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। আমি কাউকে কাউকে উপকার করতে না পারলে আমার হাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। যার যেমন সম্মান আমি তাকে সেই মর্যাদা দিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমি পুনরায় নির্বাচিত হতে পারলে যুব সমাজকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মকর্মমূখী করে তুলব। আমার ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজগুলি সম্পন্ন করব।
উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক শম্ভুজিৎ মন্ডল জানান, বিগত ১০ বছর সংসদ প্রতিনিধি হিসাবে ও দলীয় দায়িত্ব পেয়ে সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকভাবে এমপি রুহুল হকের নির্দেশ মোতাবেক অসংখ্য রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ, ব্রিজ কালভাটের কাজ সম্পন্ন করেছি এবং অসমাপ্ত বহু কাজ সমাপ্ত করবো।
ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, কামালকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি, সরাপপুর ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সঞ্জয় কুমার দাশ জানান- আমি ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। আমার প্রোপিতামহ মৃত শশীভূষণ দাশ শোভনালী ইউনিয়নের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, আমার বড় দাদা বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও এলাকার হত দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকায় বিভিন্ন গেটের সংস্কার করেছি। এলাকার মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে আমি প্রার্থী হয়েছি। আমি নির্বাচিত হতে পারলে দূর্নীতিমুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ গড়ব।
ইউনিয়ন আ.লীগ নেতা নজরুল ইসলাম গাইন জানান- আমি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে বর্তমান ইউপি সদস্য হিসাবে অসহায় মানুষের পাশে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। ১৯৭১সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমার বড়ভাই মৃত আব্দুল ওহাব গাইন স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন সংগঠক হিসাবে কাজ করেছেন। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের পর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আমার মেজ ভাই মৃত শহিদুল ইসলাম শহীদ চেয়ারম্যান ১৯৮৮ সাল হতে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছর ও ২০১২ সাল হতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত শোভনালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর আমি তার ছোট ভাই হিসাবে আগামী ইউপি নির্বাচনে সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজ গুলি সমাপ্ত করতে চাই।
উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান ডালিম এরই মধ্যে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছেন।
তিনি জানান- আমি নির্বাচিত হতে পারলে শোভনালী ইউনিয়নকে দুর্নীতিমুক্ত ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলব। নদী খাল সংস্কার, মাদক নিরসন, অবহেলিত রাস্তা-ঘাটের সংস্কার ও গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করব। মেম্বরদের যথাযথ মর্যাদা সহ ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করব। ইতোমধ্যে বহু মসজিদ, মাদরাসা, মন্দিরে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সাহায্য করে যাচ্ছি।
এছাড়া উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাও. আবু বক্কার সিদ্দিকের নাম শোনা যাচ্ছে।
সবমিলে ক্লিন ইমেজের মানুষকে চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায় ইউনিয়নবাসী।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)