কলারোয়ায় গণটিকায় গণজাগরণ, লাইনে মাস্কহীন মানুষের গাদাগাদি
কলারোয়ার বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হয়েছে। গণটিকা কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত গণজাগরণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
স্বাভাবিকভাবেই টিকাদান চত্বরে স্বাস্থ্যবিধি অনেক ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে টিকাদান কক্ষের বাইরে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ ও লাইনে সুশৃংখলভাবে রাখতে সংশ্লিষ্টদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
তবে শেষমেষ সুষ্ঠুভাবেই গণটিকা কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিনভর উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা চত্বরে টিকা নিতে আসা বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
নিবন্ধন করা ব্যক্তিরা টিকা গ্রহণ করেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা সুষ্ঠুভাবেই টিকা প্রদান কার্যক্রম সম্পাদন করেন।
এদিকে, টিকা গ্রহণের আগে টিকাদান কক্ষের বাইরের চত্বরে টিকা নিতে আসা বেশিরভাগ ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায় নি।
উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের পানিকাউরিয়াসহ বিভিন্ন গণটিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। নেই সামাজিক দূরত্ব। গায়ে গা লাগিয়ে লাইনে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে। বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। কারো মাস্ক আবার থুতনিতে। বিক্ষিপ্ত জটলা আর ভিড়ে মোখোর টিকাদান কেন্দ্রের চত্বর। নেই শৃঙ্খলা।
পুলিশ, আনসার ও গ্রামপুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করেও সামাজিক দূরত্বের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছেন। তবে টিকা প্রদান কক্ষের ভিতরে অযথা সময়ক্ষেপন ছাড়াই অতিদ্রুত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিবন্ধন কাগজের কাজ ও সুশৃঙ্খল ভাবে টিকা প্রদান করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
দায়িত্বরত এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেবা দেয়ার জন্য। কিন্তু সেটা অনেক সময় নানা কারণেই সম্ভব হচ্ছে না। তবে টিকাদান কক্ষে ঢোকার সময় মুখে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর.এম.ও) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকা নেওয়া হলেও সবাইকে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
এদিন বিকালে জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ টিকাদান কেন্দ্রে দায়িত্বরত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক বিকাশ কুমার ঘোষ বলেন, ‘সেখানে দেড় হাজার মানুষকে টিকা প্রদানের কাজ চলছে।’
চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদ টিকাদান কেন্দ্রে দায়িত্বরত সিএইচসিপি শেফালী খাতুন বলেন, ‘সেখানে দুই হাজারের মতো মানুষকে টিকা প্রদানের কার্যক্রম চলছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ এন্ড এফপিও) ডাক্তার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ২০ হাজারের মতো মানুষকে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হচ্ছে। এটি প্রথম ডোজের। এছাড়াও হাসপাতাল চত্বরের স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান অব্যাহত রয়েছে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)