কলারোয়ায় ভূমিদস্যু কর্তৃক জমি রেকর্ড করার অভিযোগে মানববন্ধন


কলারোয়ায় ভূমিদস্যু কর্তৃক জাল কাগজ তৈরী করে জমি অবৈধ ভাবে রেকর্ড করে নেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের ঝাপাঘাট পশ্চিম পাড়ার ১৮জন ভুক্তভোগী কৃষক মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ওই মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপজেলার ঝাপাঘাট পশ্চিমপাড়া ইছাহক মন্ডলের পুত্র আনারুল ইসলাম ও নুরুল ইসলামের নামে অবৈধ কাগজপত্র জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ১৭ থেকে ১৮ বিঘা সম্পদ নিজ নামে রেকর্ড করার অভিযোগে করেছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা সর্বশান্ত হয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, কলারোয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহি অফিসার, কলারোয়া থানা, জেলা ডিবি পুলিশ, ইউনিয়ন ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
গত ৩ অক্টোবর জাল-জালিয়াতির বিষয়টা জানতে পেরে আমরা কলারোয়া উপজেলা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) আল মামুন ও কলারোয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরী উজ্জল হোসেনের নামে এই অভিযোগ দায়ের করেছি।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ৯ নম্বর হেলাতলা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঝাপাঘাট গ্রামের (পশ্চিমপাড়া) ১৮ জন কৃষকের বিনিময় সম্পত্তি, পাওয়ারী সম্পত্তির যাবতীয় কাগজপত্রাদী থাকা সত্বেও একই গ্রামের পরসম্পদ লোভী ভূমিদস্যু ইছাহক মোড়লের পুত্র নুরুল ইসলাম ও আনারুল ইসলাম প্রকৃত জমির মালিকদের অগোচরে অতি গোপনীয় ভাবে ২০১৮-১৯ সালে কাগজ পত্র জাল জালিয়াতি করে নিজেদের নামে রেকর্ড করে নিয়েছে। যার নামজারী ও জমা একত্রীকরণ কেস নম্বর (২০১৮-১৯সালের)১৯৪, ১৯৫, ১৯৬, ১৯৭, ১৯৮, এবং নতুন খতিয়ান (বিএস) নম্বর- ৬৯৯, ৭০০, ৭০১, ৭০২ ও ৭০৩ এবং যাহাতে বাদীগনের জমিতে বসতভিটা, ফসলী জমি, কবরস্থান সহ অন্যান্য জমি রয়েছে। বিবাদীগণ ২০১৮-১৯ সালের জমির কাগজপত্র জাল-জালিয়াতির সাথে সংশ্লিষ্টতা থেকে হেলাতলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং কলারোয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মুহুরী উজ্জল হোসেন বিবাদীগনের কাছ থেকে ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকার ঘুষ বাণিজ্য করে জমির সকল কাগজপত্রাদি জাল-জালিয়াতি কাজে ও অবৈধ রেকর্ডের কাজে সহযোগীতা করেছে বলে অভিযোগ করেন বাদীগণ।
এতে করে জমির প্রকৃত মালিকগণ সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মালিকানা জমি ফেরত ও বিবাদীগণের জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে করা জমির রেকর্ড বাতিল করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট।
জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জমি অবৈধ রেকর্ড বাতিলের জন্য গত ২৫ অক্টোবর তারিখে কলারোয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস বরাবর ১৫০ ধারায় অভিযোগ করেছেন জমির প্রকৃত মালিকগণ। যার তদন্ত বর্তমানে চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.আক্তার হোসেন বলেন- ‘ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে একটি আবেদন পেয়েছি যার মধ্যে ৫, ৬টি কেস রয়েছে। সেগুলো সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারীর (নায়েব) কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
