কেশবপুরে জমিতে গাছ কর্তন, আদালতে মামলা
যশোরের কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের আটন্ডা গ্রামে ভোগদখলীয় জমির উপর রোপন করা মেহেগনি গাছ জোরপূর্বক কর্তন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে
বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালাত কেশরপুর যশোর মোছাঃ সাজিদা বেগম নীজে বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সি আর মামলা, যার নং- ৭৮৬ তারিখ-২৩/১২/২০২৪ইং।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, যশোরের কেশবপুর উপজেলার তিন নম্বর মজিদপুর ইউনিয়নের আটন্ডা গ্রামের মৃত সোনাই মোড়ল মাতা মৃত অভিরোননেছার মেয়ে
মোছাঃ সাজিদা বেগম (৪০) মাতৃসূত্রে প্রাপ্ত
আটন্ডা, মৌজা নং-৬৩, খতিয়ান নং ১২৯, দাগ নং ০৮ এবং জমির পরিমান ২০ শতক। বাদীর নিজ নামে নামপত্তন করিয়া নিয়মিত সরকারী সেরেস্তায় কর খাজনাদি পরিশোধ করতঃ অদ্যাবধি নির্বিঘ্নে ভোগদখল করিয়া আসিতেছে। তার দখলীয় জমির উপর রোপন করা ৩০টি মেহগনি গাছ ইলেকট্রিক করাত দিয়া গোড়া হইতে কাটিয়া ফেলে পার্শবর্তী জমির মালিক ও একদল দুর্বিত্তরা। মামলায় নাম উল্লেখিত আসামীরা হলেন, ১। বিল্লাল হোসেন (৩০)পিতা- হাবিবুর রহমান হবি মোড়ল,২। হাবিবুর রহমান হবি (৫৫) পিতা- আমির আলী মোড়ল, ৩। রবিউল ইসলাম (৪০) পিতা- ইয়াসিন মোড়ল, ৪। আইয়ুব আলী (৩০) পিতা- মৃত নফর খাঁন, ৫। সেলিম (২২)পিতা-ফরমান খান, ৬। সুরোত আলী (৪০ পিতা-মৃত জামাল খান, সর্ব সাং-আটন্ডা,কেশবপুর, যশোর। ৭। নাজমুল (৩০) পিং-জামির মোড়ল, সাং- লক্ষীনাথকাঠি,থানা- কেশবপুর, যশোর সহ অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ জন। দখলীয় জমির উত্তরপার্শ্বে ১নং আসামীর ধানী জমি আছে। এক লাইনে ৩০ টি এবং পশ্চিম পার্শ্বে এক লাইনে ৩০টি মোট ৬০টি মেহগনি গাছ লাগিয়েছিল। ১নং আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ উত্তর পার্শ্বের লাইনের মেহগনি গাছগুলি নিয়া ইতোপূর্বে বাদীর স্বামীর সহিত ঝগড়া বিবাদ করিয়াছে। ১নং আসামী বাদীর জমিতে উভয় পার্শ্বে লাগানো মেহগনি গাছ গুলো জোরপূর্বক কাটিয়া নেওয়ার হুমকী দিয়া আসিতেছে। গত ২০/১২/২০২৪ তারিখে ভোরবেলা বাদীর স্বামী ব্যবসায়িক কাজে বাজারে চলিয়া যায়। এই সুযোগে সকাল ৮.০০ ঘটিকার সময় আরজি বর্ণিত আসামীগণ সহ অজ্ঞাত নামা ২০/৩০ জন ব্যাক্তি বে-আইনী ভাবে দলবদ্ধ হইয়া হাতে ইলেকট্রিক করাত, কুড়াল, গাছিদা সহ বাদীর দখলীয় তপশীল জমিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া বাদীর জমির উভয় পার্শ্বে থাকা ৩০টি মেহগনি গাছ ইলেকট্রিক করাত দিয়া গোড়া হইতে কাটিয়া ফেলে। যাহার মূল্য প্রায় ১,৫০,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে। বাদী জিজ্ঞাসা করিলে ১নং আসামী বলে পারলে ঠেকাও। এখন আমরা (বিএনপি) ক্ষমতায় আছি। এখন থেকে এরকম হবে। তখন বাদী বাধা দিয়ে গেলে ১ ও ২নং আসামী বাদীকে এলোপাতাড়ী কিল, চড় মারিয়া সারা শরীরে বেদনাযুক্ত ফোলা জখম করে। ১নং আসামী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে বাদীর পরনের কাপড় চোপড় টানিয়া ছিঁড়িয়া প্রকাশ্যে দিবালোকে শালিনতার হানি ঘটায়। এসময় বাদীর ডাক চিৎকারে অন্যান্য সাক্ষীগণ ঘটনাস্থলে আসিয়া পড়িলে আসামীরা প্রকাশ্যে হুমকী দেয় যে এই ঘটনা নিয়া কোন মামলা মোকদ্দমা করিশ তবে বাদী ও বাদীর পরিবারের লোকদের খুন জখম করিয়া ফেলিবে বলিয়া চলিয়া যায়।
বিষয়াদি বাদীর স্বামীকে সংবাদ দিলে বাদীর স্বামী বিকালে বাড়ীতে আসেন এবং সমস্ত ঘটনা খুলিয়া বলিলে বাদীর স্বামী বাদীকে নিয়া কেশবপুর থানা অত্র বিষয়ে মামলা করিতে গেলে খানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করিতে পরামর্শ দেন। বাদীর নিকট সাক্ষী ও অত্র ঘটনাস্থলে স্থির চিত্র এবং ভিডিও ক্লিপ ধারণ করা রয়েছে। বিজ্ঞ আদালত চাহিলে দাখিল করিবেন।
১নং আসামি বিল্লাল হোসেন বলেন,এই জমি নিয়ে অনেকবার বিচার সালিশ হয়েছে। দুই জনের জমি আইলের উপরে গাছ লাগিয়েছে। আমার ফসলের ক্ষতি হয়। অনেকবার বলেছি কেটে নেওয়ার জন্য। গায়ের জোরে এতদিন বক দখল করেছে। এখন সুযোগ পেয়েছি কেটে দিয়েছি। আগের দিন ভুলে যেতে হবে। পাঁচই আগস্ট এর পরের দিনথেকে হিসাব নিকাশ আলাদা হবে।
মামলার বাদী সাজিদা বেগম বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ আমার জমির উপর রোপন করা ৩০ টি মেহেগনি গাছ করাত দিয়ে কাটে ফেলিছে। তাই আমি গত ২৩ ডিসেম্বর আদালতে মামলা করি। আসামীরা মামলা তুলে আনার জন্য হুমকি ধামকি দেচ্ছে। কেশবপুর থানায় অভিযোগ করিছি। আপানাদের কাগজে লিখে আমার বিচারের সহোযোগীতা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)