কেশবপুরে মঙ্গলকোট বাজার মন্দিরের চলাচলের রাস্তা দখলের অভিযোগে


কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের মঙ্গলকোট বাজারস্থ দূর্গা পূজা মন্দিরের চলাচলের রাস্তা দখল করে নিয়েছে মঙ্গলকোট বাজারের রেজাউল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী।
ফলে দর্শনার্থীদের পূজা দর্শনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
দর্শনার্থীদের মন্দিরে চলাচলের রাস্তাটি প্রশস্ত করার জন্য সরকারী নদীর জমি অপসারন করার লক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন মঙ্গলকোট দূর্গাপূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মন্দিরটি মঙ্গলকোট বাজারের পশ্চিম দিকে বুড়ি ভদ্রা নদীর পাশে অবস্থিত। মঙ্গলকোট ইউনিয়ন পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও মঙ্গলকোট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আশুতোষ হালদার দূর্গা পূজা উদ্যাপন করার জন্য বসুন্তিয়া মৌজায় ৭০২ দাগে ১০ শতক জমি ইং ১৯৯৩ সালে দান করেছিলেন। সেই অবদি এখানে দূর্গা পূজা জাগজমকভাবে হয়ে থাকে। বহু দূর দূরান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ ভক্তরা এখানে পূজা দেখতে আসেন। সম্প্রতি মন্দিরের সীমানা প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। নদীর পলিমাটি ভরাটের উপর দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়। তাছাড়া মন্দিরের পাশেও একটি বাড়ী অবস্থিত, সে বাড়ীতেও একই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু মন্দিরের দক্ষিণ পাশে রেজাউল ইসলামের ক্রয়কৃত জমি ছাড়াও নদীর জমি দখল করে নেওয়ায় মন্দিরে চলাচলের রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ে।
জমির মালিক রেজাউল ইসলাম জানান, স্থানীয় নায়েব সাহেব আমাকে তিন দিনের মধ্যে ঘর ভেঙ্গে নিতে বলেছেন। আমি আইনের বাইবে যাবনা। আমার একটু সময়ের প্রয়োজন। কারও ক্ষতি হোক আমি চাইনা।
মঙ্গলকোট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল কবীর জানান, আমি রেজাউল ইসলামকে দুইদিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলেছি। এর ব্যাতয় ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
