তালার নিহত লুৎফর নিকারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি


তালা উপজেলার জেয়ালা নলতা গ্রামের নলবুনিয়া মৎস্য ঘের সংলগ্ন এলাকায় নিহত লুৎফর রহমান নিকারীর প্রাথমিক ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেছে। উক্ত রিপোর্টে নিহতের শরীরে দৃশ্যত এবং ময়না তদন্তের সময় কাটার পর কোন মারপিটের কিংবা আঘাতের চিহ্ন পায়নি মেডিকেল টিম।
বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত।
সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত বলেন, নিহত লুৎফর নিকারীর শরীরে দৃশ্যত এবং ময়না তদন্তের সময় কাটার পর কোন মারপিটের কিংবা আঘাতের চিহ্ন পায়নি মেডিকেল টিম। তবে ময়না তদন্তের চুড়ান্ত রিপোর্ট পেতে মাস খানেক সময় লাগতে পারে। তাছাড়া ভিসেরা এবং হিস্ট্রো প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। রিপোর্টগুলো আসলে লুৎফর নিকারীর মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তবে তার শরীরে দৃশ্যত এবং ময়না তদন্তের সময় কাটার পর কোন মারপিটের বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানান সিভিল সার্জন।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তালার জেয়ালা নলতা গ্রামের লুৎফর নিকারীর ছেলে সেলিম নিকারী নলবুনিয়া বিলের সরকারি খালে মাছ ধরছিলেন। তার পাশেই তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমানের মৎস্য ঘের রয়েছে। ওই মৎস্য ঘেরের কর্মচারী ঘের থেকে মাছ চুরির অভিযোগে সেলিম নিকারীকে আটক করে ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমানকে খবর দেয়। সরদার মশিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে পৌছালে ঘের কর্মচারীরা সেলিম নিকারীকে মারপিট করে। খবর পেয়ে সেলিম নিকারীর বাবা লুৎফর নিকারী ছেলেকে বাচাতে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় লুৎফর নিকারীকেও মারপিট করা হয় এবং এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।
এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে সেলিম নিকারী।
মামলায় সরদার মশিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
