দেবহাটায় সাবেক সেনাসদস্যের পরিবারকে আবারো হুমকির অভিযোগ
সাতক্ষীরায় এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য, তার স্ত্রী এবং পরিবারের আরও তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পরও পুলিশ এ সংক্রান্ত মামলায় কাউকে গ্রেফতার করেনি। এই সুযোগে হামলাকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে সেনাসদস্য পরিবারকে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে খুনজখম করবে বলে শাসিয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে ওই পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন দেবহাটার পুষ্পকাটী গ্রামের গোলাম মোস্তফা টুটুল। এসময় তার বোন মোশরেকা খাতুন ও নাসিম মাহমুদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোলাম মোস্তফা তার লিখিত অভিযোগে বলেন, তার বড়ভাই অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার হায়দর আলী এবং তার পরিবারের সদস্যরা পৈর্তৃকসূত্রে প্রাপ্ত হয়ে বহেরা মৌজার ২ একর ৬৬ শতক জমি ভোগদখল করে আসছিলেন। ২০১৭ সালে আলীপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল নামের এক ব্যক্তি ২৫-৩০ জন সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী নিয়ে দেশী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমি দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় হায়দর আলী আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত এই মামলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। মামলা এখনও চলমান রয়েছে। এদিকে মোস্তাফিজুর রহমান বকুল জমি দখলের জন্য তাদেরকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিতে থাকে।
গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, গত ৮ জানুয়ারি সাবেক সেনা সদস্য হায়দর আলী, তার স্ত্রী শিরিনা হায়দর, গোলাম মোস্তফা ও তার স্ত্রী সোনিয়া পারভিন এবং শিশু শাফিন মোস্তাকিম সহ কয়েকজন ওই জমিতে অবস্থান করছিলেন। এসময় মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, তার ভাই বাবু, মাসুদ, তাদের সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহাঙ্গীর, পুষ্পকাটীর জসিম সরদার, আব্দুর রহিম, আব্দুর রকিব, মুজিবর রহমান ও জিয়ারুল সহ ৭-৮ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এতে হায়দর আলী ও তার স্ত্রী শিরিনা হায়দর ও গোলাম মোস্তফার স্ত্রী সোনিয়া গুরুতর জখম হন। তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গোলাম মোস্তফা জানান, এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় ১০ জানুয়ারি একটি মামলা করা হয়(মামলা নং-০৩)। মামলার খবর পেয়ে স্থানীয় রব্বানী মেম্বার ও বকুল সহ তাদের সহযোগীরা সেনাসদস্য পরিবারকে নতুন করে হত্যার হুমকি দিতে শুরু করেছে। গ্রেফতার না হওয়ায় তারা এলাকায় সন্ত্রাসী মহড়া দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এসব ঘটনা নিয়ে পুলিশকে জানালেও এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখন তারা স্বপরিবারে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ করেন।
তিনি এ বিষয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)