বাগদাদে আত্মঘাতী বোমা হামলার’ আইএসের দায় স্বীকার
ইরাকের বাগদাদে বৃহস্পতিবার দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে সশস্ত্র ইসলামী সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট)। হামলায় অন্তত ৩২ জন নিহত ও একশ জন আহত হয়েছেন। খবর বিবিসির।
আইএসের সংবাদ সংস্থা আমাকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই হামলার লক্ষ্য ছিল শিয়া মুসলিমরা।
গত তিন বছরের মধ্যে বাগদাদে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটনা। হামলাকারীরা বাগদাদের তায়ারান স্কয়ারে একটি ব্যবহৃত কাপড়ের দোকানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলার কয়েক ঘণ্টা পরে মেসেজ সার্ভিস অ্যাপ টেলিগ্রামের মাধ্যমে দায় স্বীকার করে আইএস।
২০১৭ সালে ইরাকি সরকারের কাছে আইএস পরাজিত হওয়ার পর থেকে বাগদাদে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা খুবই বিরল। সংগঠনটি এক সময় পূর্ব ইরাক থেকে পশ্চিম সিরিয়া পর্যন্ত ৮৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার জায়গা নিয়ন্ত্রণ করতো এবং সেখানকার অধিবাসীদের ওপর বর্বরতা চালাতো।
গত বছর আগস্টে জাতিসংঘ জানায়, যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পরেও আইএসের অন্তত ১০ হাজার যোদ্ধা ইরাক ও সিরিয়ায় সক্রিয় রয়েছে। আইএসের ‘স্লিপার সেল’ প্রধানত গ্রামাঞ্চলে এখনো স্বল্প মাত্রায় সশস্ত্র কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীই তাদের লক্ষ্যবস্তু।
ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রথম হামলাকারী দ্রুত তায়ারান স্কয়ারের কাপড়ের বাজারে ঢুকে পড়ে বং নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করতে থাকে।
বাজারের এক বিক্রেতা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘তিনি (হামলাকারী) হাতের ডেটোনেটরে চাপ দেন। এটি সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরিত হয় ও মানুষজন খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায়।’
মন্ত্রণালয় জানায়, প্রথম হামলায় আহতদের সাহায্যে অন্যরা এগিয়ে এলে দ্বিতীয় হামলাকারী তার বোমাটি বিস্ফোরিত করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় এক বছর নিষেধাজ্ঞা থাকার পর তায়ারান স্কয়ার আবার ব্যস্ত হয়ে উঠেছিল।
বাগদাদে সর্বশেষ আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছিল ২০১৮ সালে। তায়ারান স্কয়ারেই চালানো ওই হামলায় ৩৫ জন নিহত হয়েছিলেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)