মহাকাশে যুদ্ধের দামামা, চীন-রাশিয়াকে নজরে রেখে স্পেস সেন্টার বানাচ্ছে ন্যাটো
ভবিষ্যতে রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে আসা মহাজাগতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে জার্মানিতে একটি স্পেস সেন্টার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিল ন্যাটো। ফলে এবার মহাকাশেও কার্যত বেজে উঠল যুদ্ধের দামামা।
আমেরিকা নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর ৩০টি দেশের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্তারা ভারচুয়াল বৈঠকে বসে সোমবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নয়া স্পেস সেন্টারটি দ্রুত গড়ে তোলা হবে জার্মানির রাইনল্যান্ড প্যালাটিনেট রাজ্যের র্যামস্টেইন এলাকায়। এখানে ন্যাটো গোষ্ঠীর একটি বিশাল বিমান বাহিনীর ঘাঁটি আছে।
সেখানেই এটি গড়ে তোলা হবে। রাশিয়া, চীনের মহাকাশ সেনা ছাড়াও যেকোনও মহাজাগতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে এখানে উপগ্রহ ধ্বংসকারী, উল্কা ধ্বংসকারী ব্যবস্থা সক্রিয় থাকবে সব সময়। ভারতও যে সম্প্রতি মহাকাশে উপগ্রহ ধ্বংসকারী মিসাইলের সফল পরীক্ষা ও গবেষণা চালিয়েছে, তাও বৈঠকে আলোচনা করেছেন ন্যাটো কর্তারা।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে চলা সামরিক প্রস্তুতির ওপর নজর রেখে তৈরি ভারতও।
মহাকাশে যুদ্ধের প্রস্তুতিতে চীনের সক্রিয়তা লক্ষ্য করে গতবছর কৃত্রিম উপগ্রহ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারত। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০০ কিলোমিটার উচ্চতায় একটি লাইভ লো অরবিট স্যাটেলাইটকে নিশানা করে ‘এ স্যাট’ মিসাইল। এই অভিযানের নাম ‘মিশন শক্তি’। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও।
এখনও পর্যন্ত আমেরিকা, রাশিয়া ও চীনের কাছে এই প্রযুক্তি রয়েছে। এবার চতুর্থ দেশ হিসেবে এই প্রযুক্তি হস্তগত করল ভারত। এর ফলে মহাকাশযুদ্ধে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে দেশ।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকা, রাশিয়া ও চীন ছাড়া এহেন জটিল প্রযুক্তি আর কোনও দেশ আয়ত্তে আনতে পারেনি। যান চলাচল থেকে শুরু করে, আবহাওয়ার বার্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা আজ স্যাটেলাইটের ওপর নির্ভরশীল।
এছাড়াও শত্রু দেশের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে সেনাবাহিনী ব্যবহার করে কৃত্রিম উপগ্রহ। এহেন পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই মিসাইল ছুঁড়ে শত্রুর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যান চলাচল ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত করে দেওয়া সম্ভব। এক আঘাতেই কার্যত অচল হয়ে পড়বে শত্রু সেনা। ফলে ‘এ স্যাট’ মিসাইল হাতে আসায় পাকিস্তান ও চীনকে কার্যত ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে ভারত।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডিফেন্স নিউজ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)