সাতক্ষীরার বাঁকালে তালাকপ্রাপ্ত স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে মারপিটের অভিযোগ
সাতক্ষীরার বাঁকাল সরদার পাড়ায় তালাকপ্রাপ্ত স্বামী শরিফুল ইসলাম কর্তৃক স্ত্রী মাকছুরাকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা আনুঃ ৭ টার দিকে বাঁকাল সরদার পাড়া গ্রামে রাস্তার ওপর এ ঘটনা ঘটে। সে একই গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। ওই ঘটনায় স্থানীয়রা ছুটে এসে মাকছুরাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮ থেকে ৯ বছর পূর্বে মাকছুরা এর সাথে বাঁকাল সরদার পাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। এরপরে তাদের কোলজুড়ে আসে ২টি ছেলে সন্তান। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। তবে শরিফুলের বাবা মিজানুরের জন্য কপাল পুড়ল মাকছুরার। প্রায় সময় মিজানুর কুপ্রস্তাব দিতো মাকছুরাকে। মাকছুরা রাজি না হওয়ায় শ্বশুরের সাথে প্রায় ঝগড়া হতো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠতো শ্বাশুড়িও।
একপর্যায়ে মাকছুরা তার স্বামী শরিফুল ইসলামকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললে সেও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে মারপিট করতে থাকে। প্রায় সময় শরিফুল মাকছুরাকে মারপিট করতো। এছাড়াও তার শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও ননদ মিলে মাকছুরাকে মারতো। তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে মাকছুরা তার স্বামীকে প্রায় ১ বছর পূর্বে তালাক দেয়। তবে ওই তালাক মানতে নারাজ শরিফুল।
একপর্যায়ে তাদের দুই ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে আর হেরা (৬) তার মায়ের কাছে থাকতো। হঠাৎ তার বাবা তাকে নিয়ে আসে। সেই ছেলেকে নিজের সাথে নিয়ে যেতে বৃহস্পতিবার (০২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা আনুঃ ৭ টার দিকে বাঁকাল সরদার পাড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলামের বাড়ির সামনে গেলে রাস্তার ওপর ফেলে মাকছুরাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার তালাক প্রাপ্ত স্বামী, সাবেক শ্বশুর মিজানুর রহমান, সাবেক শ্বাশুড়ি শাহানারা ও ননদ খাদিজার হাতে থাকা লাঠি, লোহার রড় দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এছাড়াও কিলঘুষির পাশাপাশি শ্লীলতাহানিও করে। তাদের মারপিটে মাকছুরার গলা ও সারা শরীরে নীলা ফোলাও জখম হয়।
ভুক্তভোগীর মা কুলসুম জানান, ঘটনার সময় আমার মেয়ের সাথে ছিলাম। ওরা যখন মাকছুরাকে মারছিল তখন বাঁধা দেওয়ায় তারা আমাকেও মারপিট করে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিতপূর্বক আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবির প্রত্যাশায় জেলা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)