সাতক্ষীরার সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়ায় জীবিকা কয়েক লাখ মানুষের
সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপকুল জুড়ে টানা ৩ মাস মাছ-কাকঁড়া আহরণের জন্য পাস বন্ধ থাকায় উপকূলজুড়ে জেলেদের খাবারের হাহাকার শুরু হয়েছে।
জেলেদের দাবী এই মুহূর্তে সুন্দরবনের মাছ, কাকঁড়া আহরণের পাস পারমিট দেওয়া হোক। তাহলে তাদের সন্তানরা দুমুটো খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে। তা না হলে অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে তাদের।
‘এই প্রাকৃতিক কাঁকড়ার আয়ুকাল মাত্র ২ বছর। এগুলো যদি সংগ্রহ না করা হয়, তাহলে এই কাঁকড়া প্রাকৃতিক নিয়মে মারা যাবে’- এমনটি জানান কাঁকড়া ব্যাবসায়ী শহিদুল মোড়ল।
‘কাঁকড়ার উপর নির্ভরশীল মানুষের কথা চিন্তা করে, কাঁকড়া প্রজনন মৌসুম ছাড়া অন্য সময় নিয়মিত ও সঠিকভাবে কাঁকড়ার পাশ-পারমিট দেয়া হোক’- এ দাবি সুন্দরবন পার্শ্ববর্তী মাছ, কাঁকড়া আহরণ করা জেলেদের।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবনের মাছ কাঁকড়া আহরণের পাস পারমিট ৯০ দিন বন্ধকালিন সময়ের ৬৪ দিন শেষ হয়েছে। আরও বন্ধের সময় শেষ হতে ২৬ দিন বাকি আছে। এ ২৬দিন পর সুন্দরবনে মাছ কাঁকড়া আহরণ করা পাশ দেওয়া হবে জেলেদের, যদি নতুন করে সরকারি কোন নিষেধাজ্ঞা না আসে।
এ বিষয়ে বন বিভাগের কাছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারিভাবে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা আছে। এসময় সুন্দরবনের বনজ সম্পদ আহরণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ।’
তবে, বিষয়টি অমানবিক বলে মনে করেন তিনি।
তার মতে- যেহেতু হাজার হাজার মানুষ এখনো সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এভাবে মাছ ধরা বন্ধ রাখা ঠিক হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি আমাদের বলে তাহলে বনবিভাগের পক্ষ থেকে আমরা তাৎক্ষণিক জেলেদের পাস দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)