শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়ছে ১১৮৯ কোটি টাকা

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। যা শতকরা বিবেচনায় মোট প্রস্তাবিত বাজেটের ৫ দশমিক ৯ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন তিনি। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা ছিল। সে হিসাবে এই বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে ১১৮৯ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মানসম্মত ও জনবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা আমাদের সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিশেষ করে কোভিডকালীন স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত অর্থায়ন সংগ্রহ ও তার ব্যবস্থাপনা, দ্রুততম ভ্যাকসিন ক্রয় ও প্রয়োগ করেছি। জনগণকে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দিতে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম ৫ দেশের মধ্যে অবস্থান করছে।

এবার স্বাস্থ্যখাতে ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা সুলভ করতে দেশে প্রস্তুত হয় এমন ক্যানসার নিরাময়ের ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া, ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার কথা বলা হয়েছে। ইঞ্জেকশনের আইভি ক্যানুলা উৎপাদনের প্রধানতম কাঁচামাল সিলিকন টিউব আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ডায়াবেটিক ব্যবস্থাপনার ওষুধ উৎপাদনে বিশেষ কিছু কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

কোভিড পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ

কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে ১৬টি জাতীয় গাইডলাইন, অন্যান্য নির্দেশিকা, ৪টি এসওপি (অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং প্রসিডিউর) এবং ১৩টি গণসচেতনতামূলক উপকরণ তৈরি করা হয়েছে। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে ১২ হাজার ৮৬০টি শয্যা এবং ১ হাজার ১৮৬টি আইসিইউ’র সংস্থান করা হয়েছে। দেশের সকল জেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতালে কমপক্ষে পাঁচটি শয্যা কোভিড রোগীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ভবিষ্যতে এ সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। মোবাইল ফোনে কোভিড-১৯ এর সেবা ও স্বাস্থ্য বাতায়নসহ অন্যান্য হটলাইনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা দিতে অব্যাহত রেখেছি আমরা। সারাদেশে ১৬২টি পরীক্ষাগারে আরটিপিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে। এছাড়াও ৫৭টি জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে এবং ৬৬৬টি কোভিড-১৯ র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট সেন্টারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ টেস্ট করা হচ্ছে।

সবার জন্য সুলভ ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের মূল বৈশিষ্ট্য হলো- অগ্রাধিকারভিত্তিক সেবাসমূহ সম্প্রসারণ, অধিক সংখ্যায় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্তকরণ ও সেবাগ্রহীতার ব্যক্তিগত ব্যয় হ্রাসকরণ। এক কথায় আর্থিক কষ্ট ব্যতিরেকেই সকল নাগরিকের জন্য গুণগত স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা। এ লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা চতুর্থ স্বাস্থ্য ও পুষ্টিখাত কর্মসূচির আওতায় ৩১টি অপারেশনাল প্ল্যানের মাধ্যমে সারাদেশে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, প্রতিরোধযোগ্য রোগসমূহ হতে শিশুদের সুরক্ষা দিতে চলমান রাখা হয়েছে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই)। ১৯৮৫ সালে ইপিআই কভারেজ ছিল মাত্র ২ শতাংশ, যা বর্তমানে ৯৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ১০৬টি উপজেলায় মাল্টিপারপাস হেলথ (এমএইচভি) কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। দরিদ্রদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে স্বাস্থ্যসুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় টাঙ্গাইল জেলার ১১টি আন্তঃবিভাগীয় রোগীদের (স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি) বেনিফিট প্যাকেজের অধীনে ৭৮টি নির্ধারিত রোগের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক

মোস্তফা কামাল বলেন, গ্রামীণ জনগণের কাছে সরাসরি স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর কার্যকর মাধ্যম হিসেবে আমরা এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩৮৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছি। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সরকার ও জনগণের সম্মিলিত অংশীদারত্বে পরিচালিত হয়। ক্লিনিকের জন্য জমি দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনায়ও ভূমিকা রাখেন। ক্লিনিক পরিচালনা ও ওষুধ-চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যয় নির্বাহের দায়িত্ব সরকারের। ক্লিনিকে মা, নবজাতক ও অসুস্থ শিশুর সমন্বিত সেবা (আইএমসিআই), প্রজননস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা, সাধারণ আঘাতের চিকিৎসা ছাড়াও পুষ্টিসেবা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ক্লিনিকে ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো অসংক্রামক রোগ শনাক্ত করা হয়। বয়স্ক, কিশোর-কিশোরী ও প্রতিবন্ধীদের লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। ক্লিনিক থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ছাড়াও শিশুদের অনুপুষ্টিকণার প্যাকেট দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনা পয়সায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিন দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে দৈনিক গড়ে ৪০ জন সেবাপ্রার্থী সেবা গ্রহণ করে থাকেন, যার ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। সারাদেশে প্রায় ৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসবসেবা দেওয়া হয়।

একই রকম সংবাদ সমূহ

এসএসসি পরীক্ষার ফল ১২ মে

প্রতীক্ষার প্রহর গোনা শেষ হচ্ছে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষার্থীদের।বিস্তারিত পড়ুন

বিএনপি নেতারা বেগম জিয়ার আইনি পথে ব্যর্থ, রাজপথে আন্দোলনেও ব্যর্থ : ওবায়দুল কাদের

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলটির নেতাকর্মীরা একটা বিক্ষোভ মিছিল পর্যন্তবিস্তারিত পড়ুন

১০ টাকায় টিকিট কেটে চোখ দেখালেন প্রধানমন্ত্রী

সাধারণ রোগীদের মতোই লাইনে দাঁড়িয়ে ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে রাজধানীর জাতীয়বিস্তারিত পড়ুন

  • গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
  • শনিবারও বন্ধ থাকবে যেসব জেলার স্কুল-কলেজ
  • মিডিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে বিবিসি’র বিশেষ প্রতিবেদনে যা বলা হলো
  • রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী’র অংশীদারিত্ব
  • সংসদ অধিবেশন শুরু, প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীদের প্রতি ৯৪০ প্রশ্ন
  • মাধ্যমিক শনিবার, প্রাথমিক বিদ্যালয় রোববার খুলছে
  • সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আর নেই
  • এলপি গ্যাসের দাম কমলো
  • বাংলাদেশের পুলিশ এখন আমেরিকার স্টাইলে আন্দোলন দমন করতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
  • রাতের আঁধারে লাশ দাফন করতেন মিল্টন, বানিয়েছেন ৯০০ মৃত্যুসনদ
  • ‘সমুদ্র সৈকতে বিনিয়োগ করতে চাইলে থাইল্যান্ডকে জায়গা দেওয়া হবে’
  • আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে এবার জাল মৃত্যুসনদের মামলা