আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে যা বললেন মঈন খান


আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, এটা বিএনপির সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়। এটি নির্বাচন কমিশন, সরকার ও যারা নিষিদ্ধ করতে চায় তাদের ঐকমত্যের বিষয়। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, কারা নির্বাচন করবে বা কারা করবে না।
শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, সুষ্ঠু ও দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরা সম্ভব। জনগণের প্রতিনিধিত্ব নির্ধারিত হতে পারে একমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচনটি যত তাড়াতাড়ি হবে, ততই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রের উত্তরণ চাই। নির্বাচনের মাধ্যমেই একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যেতে পারি।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে ড. মঈন খান বলেন, তাদের জিজ্ঞাসা করতে হবে, তারা কি আদৌ নির্বাচনে আসবে? আওয়ামী লীগের একজনও কি গত ১৫ বছরে জনগণকে জিম্মি করার জন্য কোনো ক্ষমা চেয়েছে?
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা দ্য কার্টার সেন্টারের ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসে। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
বিএনপির পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সঙ্গে ছিলেন ড. আব্দুল মঈন খান, মোহাম্মদ ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং এ বি এম আব্দুস সাত্তার।
বৈঠকের বিষয়ে মঈন খান জানান, বৈঠকে মূলত দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, প্রথমত, বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং দ্বিতীয়ত, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে (ইলেকশন মনিটরিং) কার্টার সেন্টারের সম্ভাব্য ভূমিকা। প্রতিনিধি দলটি জানতে চায়, নির্বাচন কখন ও কীভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং তাদের মনিটরিং প্রক্রিয়া এতে কীভাবে যুক্ত হতে পারে।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
