মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

এশিয়ায় বিস্ময়কর ডিজিটাল লিডার বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের একটি প্রবন্ধ বুধবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘নিউজউইক’ এ ছাপা হয়েছে।

‘বাংলাদেশ: এ সারপ্রাইজ ডিজিটাল লিডার ইন এশিয়া’ শিরোনামে প্রকাশিত এই প্রবন্ধটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

এক দশকেরও বেশি আগে বাংলাদেশ ঘোষণা করেছিল, প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী বা ২০২১ সালের মধ্যে প্রযুক্তিতে অগ্রগামী দেশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে। আমরা যে এটা করতে পারব তা খুব বেশি মানুষ বিশ্বাস করেনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন দায়িত্ব নিলেন তখন দেশের মাত্র ২ কোটি মানুষের হাতে মোবাইল ফোন ছিল।

অথচ এখন কমপক্ষে ১২ কোটির বেশি বাংলাদেশির হাতে মোবাইল ফোন এবং লাখ লাখ মানুষের কাছে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ আছে, এমনকি প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত। ফলে জীবন উন্নত ও নিরাপদ হয়েছে দেশের অগণিত মানুষের।

২০০৯ সালে উচ্চাভিলাষী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয় দ্রুত সেবা দেওয়া, কাগজভিত্তিক সরকারি সেবাকে ইন্টারনেট এবং স্মার্টফোনভিত্তিক প্রোগ্রাম ব্যবহার করে সহজ করে তোলার লক্ষ্যে। ই-সিগনেচার ও ইলেকট্রনিক ফাইলিং ব্যাপকভাবে চালু করা হয়।

সরকার সারাদেশে ৮৫০০ ডিজিটাল সেন্টারের একটি নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করেছে, যার মাধ্যমে জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত সব ধরনের সেবা অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। জন্ম নিবন্ধন, চাকরি প্রাপ্তি ও অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি অনেক সহজ হয়েছে। অনেক জাতীয় কর্মসূচি এখন অনলাইনে চলে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছর লকডাউন দেওয়া হয়, তখনও সরকারি সেবায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।

নতুন একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আদালতের কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। কৃষিভিত্তিক একটি পোর্টাল থেকে কৃষকরা আবহাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আপডেট ও অন্যান্য তথ্য পাচ্ছেন। কোভিড-১৯ সম্পর্কিত তথ্য সাধারণ নাগরিকদের মোবাইলের মাধ্যমে জানানো হচ্ছে।

বাংলাদেশে চালু করা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম সরকারি পোর্টাল, যার মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের সরকারি সেবা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের লক্ষ্য হলো- সরকারি শতকরা ৮৫ সেবা স্মার্টফোনের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

শতকরা ১০ ভাগ সেবা পৌঁছে যাবে তাদের ঘরের দরজায়। আর বাকি শতকরা সেবা পেতে মানুষকে সরকারি অফিসগুলোতে যেতে হবে।

পাসপোর্ট পাওয়া থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনসহ সবকিছুই পাওয়া যায় অনলাইনে। এ সফলতার একটি মূল উপাদান মোবাইল ফোন। বাংলাদেশে চালু করা হয়েছে টোল-ফ্রি জাতীয় জরুরি সেবা হেল্পলাইন ৯৯৯- দুর্ঘটনা, সাইবারক্রাইমসহ যে কোনো অপরাধ, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, অগ্নিকাণ্ড এবং জরুরি চিকিৎসা সেবায় নাগরিকরা এটি ব্যবহার করেন।

ধন্যবাদ সম্মিলিত জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য কৌশলের প্রতি। টেলিমেডিসিন এখন শুধু সম্ভবই নয়, একটি সাধারণ বিষয়, বিশেষ করে অনগ্রসর গ্রামীণ এলাকায়। এ কর্মসূচি মৌলিক স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে থাকে, যা একটি সুস্থ জাতি গঠনে নেতৃত্ব দেয়। এ ছাড়া সরকার আরও বেশি জবাবদিহিমূলক ও দায়িত্বশীল হয়ে উঠেছে। সরকারি সেবা বা পণ্য সম্পর্কে অনলাইনে অভিযোগ জমা দেওয়া যায় সহজেই।

ব্যাপক সংযুক্তি দেশের অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করছে। দক্ষ ও ডিজিটাল জ্ঞানসম্পন্ন কর্মশক্তি গড়ে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে এবং প্রতি বছর ৫ লাখ গ্র্যাজুয়েট কর্মী তৈরি হচ্ছে। শুধু গত বছর তথ্যপ্রযুক্তি পেশায় এসেছেন কমপক্ষে ৬৫ হাজার মানুষ।

ডিজিটাল সেন্টারগুলোই কর্ম সৃষ্টির নিয়ামক। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনটি পদের মধ্যে কমপক্ষে একজন নারী। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের বয়স ২৫ বছরের নিচে। ফলে বাংলাদেশ হলো সাইবার কর্মীদের জন্য এক উর্বর ক্ষেত্র। এই সুযোগ নিতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে যুব সমাজ। অতীতে তাদের বেশিরভাগই নিজেদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের বাইরে জীবন বেছে নেওয়ার কথা কল্পনাও করতেন না। কিন্তু বর্তমানে তরুণ বাংলাদেশিরা ক্রমবর্ধমান হারে শহরমুখো, গতিশীল এবং নতুন অর্থনীতিতে প্রবেশ করতে প্রস্তুত।

ডিজিটালাইজেশন থেকে দারুণ সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশ। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রবর্তনের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি প্রযুক্তি পেশাদার কাজে যুক্ত হয়েছেন। আছেন ১০ হাজারের বেশি প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্যোক্তা। সবমিলে, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সেবা থেকে প্রতি বছর কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনছেন। এ ছাড়া সাশ্রয় হচ্ছে ২০০ কোটি ঘণ্টা সময়, ৮০০ কোটি ডলার এবং সরকারি অফিসে ১০০ কোটি বার যাওয়া।

আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশ ঊর্ধ্বপানে ছুটে চলেছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ প্রথম যোগাযোগবিষয়ক স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করে। এই স্যাটেলাইট নানাবিধ টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে।

এক বিস্ময়কর আরোহণ!

২০০৮ সালে বাংলাদেশের বার্ষিক অভ্যন্তরীণ জাতীয় প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) হার ছিল শতকরা প্রায় ৫ ভাগ। কিন্তু বর্তমানে এটা শতকরা ৮ ভাগের ওপরে। সহজলভ্য উচ্চমাত্রার যোগাযোগ ব্যবস্থা এই প্রবৃদ্ধিতে বড় অবদান রেখেছে।

প্রধানমন্ত্রী হাসিনার অধীনে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে। তবে তার কোনোটিই বাংলাদেশের ইন্টারনেট যুগের নাটকীয় অগ্রগতির চেয়ে বেশি চমকপ্রদ নয়। এমনকি এখন আমরা আমাদের ডিজিটাল বিশেষজ্ঞদের রফতানি করছি।

এশিয়ায় আমাদের প্রতিবেশী মালদ্বীপ, ভুটান ও শ্রীলঙ্কায় ডিজিটালাইজেশনের কাজে সহায়তা করছেন বাংলাদেশি প্রশিক্ষকরা। এটা যে সম্ভব মাত্র এক দশক আগে কেউ তা চিন্তাও করতে পারতেন না।

একই রকম সংবাদ সমূহ

আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীকে কুপিয়ে হ*ত্যা করলো চিন্ময়ের অনুসারীরা

চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনা সংঘের (ইসকন) নেতা ও সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রবিস্তারিত পড়ুন

ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না: তারেক রহমান

এখনও আমাদের দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত থেমে নেই মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্তবিস্তারিত পড়ুন

সংকট সমাধানে জনসমর্থিত সরকার প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

দেশের চলমান সংকট সমাধানের জন্য একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিএনপিবিস্তারিত পড়ুন

  • বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
  • সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার : আসিফ মাহমুদ
  • চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহবান হাসনাতের
  • ইসকন নেতা চিন্ময় দাস ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
  • আগে পুলিশ ছিল না, পুলিশলীগ ছিল: জিএমপি কমিশনার
  • নির্বাচন কখন হবে, জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
  • ভারতে বসে নানা সমস্যার সৃষ্টি করছেন শেখ হাসিনা
  • সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা করা দরকার করবো: সিইসি
  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, ড. ইউনূস বললেন ‘আমরা আনন্দিত ও গর্বিত’
  • খালেদা জিয়াকে ১২ বছর সেনাবাহিনী থেকে দূরে রাখা হয়েছে : মির্জা ফখরুল
  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় ড. ইউনূস
  • সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পোস্ট