সোমবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ায় শীতে তৈরি হচ্ছে কুমড়া বড়ি, বাড়তি আয়ে ইতিবাচক সম্ভাবনা

শীত মৌসুমের এক অনন্য খাবার কুমড়া বড়ি। সাধারণত তরকারিতে এই কুমড়া বড়ি দেয়া হয়। এতে তরকারির স্বাদ ও মান বৃদ্ধি পায়। চলমান শীতে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কুমড়া বড়ি তৈরী কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেক নারীরা। কিছু কিছু স্থানে তাদের সাথে যোগ দিচ্ছেন পুরুষরাও।

জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কুমড়া বড়ি তৈরীর ধুম পড়েছে। বহু নারী কুমড়া বড়ি তৈরীর কাজে জড়িত রয়েছেন। নিজেদের পরিবারের খাবারের জন্য এটি তৈরি করছেন। আবার কিছু কিছু এলাকায় বিক্রির জন্যও কুমড়া বড়ি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আবার এই শীত মৌসুমে বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে অনেক নারী ও পুরুষ কুমড়া বড়ি তৈরি করছেন।

কুমড়া বড়ি তৈরি কাজে নিয়োজিত কয়েকজন নারী জানান, ‘শীতকাল কুমড়া বড়ি তৈরীর ভরা মৌসুম। এ সময় প্রায় প্রতিটা বাড়িতে কমবেশি কুমড়া বড়ি তৈরি করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা বাজারে বিক্রি করাও হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের নারীরা বাড়তি আয়ের জন্য কুমড়া বড়ি তৈরী করছেন।’

তারা জানান, ‘কুমড়া বড়ি তৈরীর প্রধান উপকরণ কলাইয়ের ডাল আর চাল কুমড়া। এর সাথে লবনসহ সামান্য মসলা। বাজারে প্রতি কেজি কলাই ডাল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা আর চাল কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাইজ হিসেবে চাল কুমড়া ৭০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ক্রয় করা যায়। প্রতি কেজি কলাই ডালের সাথে ৩ কেজির মতো কুমড়ার মিশ্রণে কুমড়া বড়ি ভালো হয়। প্রথমে কলাই ডাল রৌদ্রে শুকিয়ে যাতায় ভেঙ্গে পরিস্কার করা হয়। সেই ডাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হয়। সাধারণত সন্ধ্যা থেকে রাতভর অর্থাৎ প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘন্টা ডাল পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। পরে শিল-পাটায় সেই ডাল বাটা হয়। আর চাল কুমড়া পিচ করে কেটে কুড়নিতে ঘষে মিহি করা হয়। এরপর দুইটির মিশ্রণ হাত দিয়ে ফেনিয়ে কুমড়া বড়ির উপকরণ তৈরী করা হয়। মাঠ, বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদ বা খোলা জায়গায় পরিষ্কার কাপড় বা নেটে ভোর থেকে হাত দিয়ে বড়ি বসানো শুরু করা হয়। পাতলা কাপড়ে সারি সারি বড়ি বসানোর পর সেই বড়ি ৩/৪ দিন একটানা রৌদ্রে শুকানো হয়। বড়ি শুকিয়ে গেলে কাপড় থেকে বড়ি উঠিয়ে পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়।’

তারা আরো বলেন, ‘তবে এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কুমড়া বড়ি তৈরীর মেশিনেও মাড়াই করে কলাই ডাল ও কুমড়ার মিহি করা হচ্ছে।’

পৌর সদরের সাজিদা বেগম জানান, ‘৩ কেজি কুমড়ার সাথে ১ কেজি কলাইয়ের মিশ্রণে কুমড়া বড়ি ভাল তৈরি হয়। এখন বাজারে খোসা ছাড়ানো কলাই ডাল পাওয়া যায়। ডাল ভালো হলে বড়ির স্বাদও ভালো হয়। এছাড়াও অনেকে কুমড়া বড়ির সাথে পেয়াজ মিশ্রন দিয়ে থাকেন। প্রতি কেজি ডালের হিসেবে কুমড়া বড়ি তৈরি করতে পারিশ্রমিক হিসেবে ১০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে প্রতি কেজি ডালের হিসেবে কুমড়া বড়ি তৈরি করতে আনুমানিক ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা খরচ হচ্ছে। আর বাজারে ৩’শ টাকার উপরে কুমড়ার বড়ি বিক্রি হয়। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি আয় করা সম্ভব হচ্ছে।’

অনেকে জানান, ‘ কুমড়া বড়ি তরকারির একটি মুখরোচক উপাদান। এতে তরকারির স্বাদে যোগ হয় নতুন মাত্রা। শীত মৌসুমে কুমড়া বড়ি তৈরী করে অনেক নারীদের বাড়তি আয়ের সুযোগ হচ্ছে। তারা উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নিজেদের ভাগ্যোন্নয়ন গ্রামীন অর্থনীতিতে ইতিবাচক সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।’

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় সংবর্ধিত হলেন ইউএনও, ওসি ও টিএইচও

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তাবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় মহিলা দলের কার্যক্রম গতিশীল করতে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত

কামরুল হাসান।। কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশনায়বিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ার কেঁড়াগাছিতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃ*ত্যু

কলারোয়ার কেঁড়াগাছি‌তে পানিতে ডুবে‌‌ দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ICTবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় মহিলা দলের কার্যক্রম গতিশীল করতে সভা অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়ায় সংবর্ধিত হলেন ইউএনও, ওসি ও টিএইচও
  • কলারোয়ায় সিসিডিবি’র প্রশিক্ষণে যুব ও ওস্তাদগনের পরিচিতি সভা
  • কলারোয়ার জয়নগরে বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে আ. রকিব মোল্যার মতবিনিময় সভা
  • ধানের পর কলারোয়ায় এবার পাট দিয়ে তৈরি হলো দুর্গা প্রতিমা
  • ঢাবির জহুরুল হক হলের নবনির্বাচিত ভিপিকে কলারোয়া আলিয়া মাদরাসায় সংবর্ধনা
  • কলারোয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
  • কলারোয়ার চন্দনপুরে যুব জামায়াতের সমাবেশে ইজ্জত উল্লাহ
  • শিক্ষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি সাবেক এমপি হাবিবের
  • কলারোয়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা
  • সাতক্ষীরায় ডাকসু’র পক্ষে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ
  • কলারোয়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর আছে, চলাচলের রাস্তা নেই, নেই কবরস্থানও