কলারোয়ার কুশোডাঙ্গায় চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি! আতংকিত এলাকাবাসী
কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায়ই কোথাও না কোথাও থেকে চুরির খবর শোনা যাচ্ছে। এই চোর সিন্ডিকেটটি কে বা কারা পরিচালনা করছে তা প্রশাসন সহ কেউই আঁচ করতে পারছেন না। তবে চুরির বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন বাসী।
সূত্রে জানা যায়, অতিসম্প্রতি বেশ কিছুদিন থেকে কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের আশে পাশে রাতের আধারে আবারো চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় বসবাসকারীরা। ছিচকে চোর গুলো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের কলাটুপি বাজারের ফুয়াদের দোকানের তালা ভেঙ্গে ১০হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে চোর।
কলাটুপি শহিদুলের একটি জলমটর চুরি হয়েছে। সেই সাথে আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
রবিউল ইসলামের একটি জলমটর চুরি হয়েছে একই রাতে।
সিরাজুল বাড়ি থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় মাথার কাছ থেকে একটি মোবাইল ও নগদ ২৫হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে চোর বা চোরেরা।
একই এলাকার সিরাজুল ইসলাম খুড়ুর একটি গরু চুরি হয়ে গেছে।
হোসেন শেখের বাইসাইকেল চুরি হয়েছে, চুরি হয়ে গেছে সামাদের বোনের জলমটরও।
একই ইউনিয়নের পিছলাপোল গ্রামের আব্দুস সালামের গ্রিলের তালা ভেঙ্গে ছাগল, একরামুলের জলমটর, মনিরুলের বাইসাইকেল, কামালের বাইসাইকেল, সহিদুলের জলমটর, মোহর আলীর জলমটর, আমজেদের ২টি ছাগল, আরশাফের ইলেকট্রিকের ব্যাটারি, রফিকুলের বাইসাইকেল, এসএম ভাটা থেকে মাটির কাটার মেশিন থেকে ব্যাটারি চুরি হয়েছে।
আর সর্বশেষ বৃহষ্পাতিবার রাতে কলাটুপি গ্রামের গনির পুকুরের ভিতর থেকে মাটির কাটার মেশিন থেকে ব্যাটারি চুরি হয়েছে।
স্থানীয় ফারুক হোসেন জানান, ‘হঠাৎ করেই চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আমাদের চিন্তিত করে তুলেছে। চোর চক্রটি রাতের বেলা প্রধান সুযোগ বলে মনে করছে।’
প্রশাসনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি এলাকাবাসী সচেতন হলেই কিংবা পাহারার ব্যবস্থা করলে এদের হয়তো ধরা বা ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হবে বলে অনেকেই মনে করছেন।
ভূক্তভোগিরা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘নেশার টাকা জোগাড় করতে অনেকে এ ধরনের কাজ করতে পারে।’
খোরদো পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মামুনুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কে বা কারা এই চুরির সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)