বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়ার হাট-বাজারে রূপালী ইলিশ এখন রূপ কথার গল্প

যার নাম শুনলে বাঙালীর জিভে পানি এসে যায়। সাধারণ মানুষের এখন তা চোখে দেখা পাওয়া দুস্কর। আর আজকের প্রজন্মের নিম্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুরা তা চিনে না বললেও ভুল হবে না। হ্যাঁ বলছিলাম বাংলাদেশের রুপালী ইলিশ মাছের কথা। আজকের শিশুর কাছে রুপালী ইলিশ রুপ কথায় পরিণত হতে চলেছে।

ষাট ও সত্তরের দশকে জৈষ্ঠ্য মাসের শেষে কলারোয়ার গ্রামে গঞ্জের হাট বাজারে রুপালী ইলিশ আসা শুরু হয়ে যেত। আর বর্ষাকাল থেকে শরৎকালের শেষ অবধি মাঠঘাট নালা ডোবায় পাওয়া মলাঢেলা, কই, শিং, মাগুর, চ্যাং, বেতল, শোল, ট্যাংরা, বাইন সহ নানা প্রকার মাছে গ্রামের মানুষের বাড়ি ভরে থাকত। বাড়তি মাছ পাওয়ার কারণে পুটি আর চিংড়ির শুটকি তৈরি করা হত।

বাড়িতে এসব মাছ থাকার পরেও রসনা বিলাসী বাঙালী বাড়ি রুপালী ইলিশ ছাড়া চলে কি। গ্রামের হাট বাজার গুলো ভরে যেত ইলিশে। হাটের দিনে বাড়ি বাড়ি আনা হত রুপালী ইলিশ। প্রতি হাটের দিন সন্ধার পরে ইলিশের মনোলোভা সুগন্ধে পাড়া মহলাগুলো সুবাসিত হয়ে পড়ত। আর সকালে ভাজা ইলিশ নয়, পান্তা ভাতের সংগে ইলিশের ঝোলে জমে উঠত খাওয়ার আনান্দ। আর অনেক পরিবারে পরদিন ঝোলের ইলিশ মাছ আগুনে শুকিয়ে সেই ইলিশ দিয়ে মজাদার সব তরকারী রান্না খাওয়া হত। আর দুই আড়াই কেজি ইলিশের তেলের মজা ছিল আলাদা। তখন কলারোয়ার পর্ব সীমানা দিয়ে প্রবাহিত কপোতাক্ষ নদে মাঝে মাঝে কৃষক আর জেলের জালে ইলিশ ধরা পড়ত। তাই প্রায় আশ্বিন মাসের শেষ অবধি গ্রামের বাঙালী পরিবারে চলত ইলিশ খাওয়ার ধুম। কিন্তু আশির দশকের শেষ ভাগে এসে গ্রামের হাট বাজারে ইলিশে ভাটা পড়তে শুরু করে। আর দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যেতে থাকে।

২০০০ সালের পরে ক্রমান্বয়ে ইলিশ মাছ দূস্প্রাপ্য হয়ে উঠে। একদিকে মূল্য বৃদ্ধি; অন্যদিকে দুস্প্রাপ্যতার কারণে ইলিশ একেবারে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যায়। এখন গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারে বছরে ১/২ দিনের বেশী ইলিশের দেখা মেলে না। কিছু চাকরীজীবি আর গ্রামের ৫/১০ জন ধনাঢ্য পরিবার এর ক্রেতা। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে সেই ইলিশ কেনা সম্ভব হয় না। ফলে আজকের প্রজন্মের বেশীর ভাগ শিশু ইলিশ মাছ চিনে না। কোন দিন ইলিশ মাছ দেখেনি। মজাদার সুস্বাদু ইলিশ তাদের কাছে রুপকথার গল্প।

জাটকা শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার পরে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির খবর প্রচারে মানুষের মনে আবার আশা জাগে। কিন্তু শাকদা গ্রামের ৮০ বছরে প্রবীণ ইসলাম, দাড়কির ৭০ বছরের বৃদ্ধ শওকাত, সোনাবাড়িয়ার আজিজ (৭৯) আবার লোভাতুর হয়ে পড়ে মজাদার পান্তা ইলিশ, ভাজা ইলিশ, ইলিশ পোলাও খাওয়ার আশায়। কিন্তু ইলিশের দাম কমেনি। সেই সংগে দুস্প্রাপ্যতা প্রকট। ইলিশ পেতে হলে শহরে যেতে হয়। তাই প্রবীণ মানুষগুলোর ইলিশ খাওয়া দূরাশায় পরিণত হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় তথ্য অধিকার, আইন শৃঙ্খলাসহ কয়েকটি মাসিক সভা

কলারোয়া উপজেলা তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ, মাসিক আইন শৃঙ্খলাসহ উপজেলা প্রশাসনেরবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা কমিটিরবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণেরবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ার ধানদিয়া চৌরাস্তায় মাদক বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
  • পেশাদারিত্বের সাথে মানবসেবা করতে চাই: সাতক্ষীরার এসপি মনিরুল ইসলাম
  • কলারোয়ার খোরদো বাজার কমিটির নির্বাচন।। সভাপতি বজলু, সম্পাদক আনারুল
  • কলারোয়ায় থানা পুলিশের সাথে সুধীজনদের মতবিনিমেষ সভা
  • কলারোয়ার মডেল মসজিদ: উদ্বোধন হয়েছে আড়াই বছর আগে, ‘অসম্পন্ন’ এখনো; ছাগল-কুকুরের বিচরণ!
  • কলারোয়ায় বিএসএইচ সিংগা হাইস্কুলে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়ার দেয়াড়া হাই -স্কুল নির্বাচনী পরীক্ষা-২৪ এর ফলাফল প্রকাশ
  • কলারোয়ায় বাজারের জননী আইস এন্ড কোল্ডস্টোরেজে ১ লাখ টাকা জরিমানা
  • কলারোয়ায় সিংগা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
  • কলারোয়া বেত্রবতী হাইস্কুল স্মরণসভা ও দোয়ানুষ্ঠান
  • কলারোয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ট্রলি ও মহেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত
  • কলারোয়ার বেগম খালেদা জিয়া ডিগ্রি কলেজে ছাত্রদল নেতাদের মতবিনিময়