শুক্রবার, আগস্ট ২২, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কাকে ভোট দেবেন, দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৪৮.৫০ শতাংশ

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। বর্তমানে দেশে ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই ভোটাররা কাকে ভোট দেবেন, এই প্রশ্নে সিদ্ধান্তহীন মানুষের হার আরও বেড়েছে। গত বছরের অক্টোবরে ৩৮ শতাংশ মানুষ বলেছিলেন তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি।

৮ মাস পর এখন ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ মানুষ বলছেন, কাকে ভোট দেবেন, সে বিষয়ে তারা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি।

কাকে ভোট দেবেন, তা বলতে চান না ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ মানুষ। আর ভোট দেবেন না বলেছেন ১ দশমিক ৭০ শতাংশ।

ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ‘পালস সার্ভে ৩’-এর ফলাফলে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় আর্কাইভস মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের মূল্যায়ন, সংস্কার, নির্বাচন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জনপ্রিয়তা নিয়ে’ জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। বিআইজিডি ও সংস্কারবিষয়ক নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ভয়েস ফর রিফর্ম যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন, এই প্রশ্নে ১২ শতাংশ বিএনপি, ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ জামায়াতে ইসলামী এবং ২ দশমিক ৮০ শতাংশ মানুষ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কথা বলেছেন। আট মাস আগে গত অক্টোবরে একই প্রশ্ন করা হলে ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষ বিএনপি, ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ জামায়াত ও ২ শতাংশ মানুষ এনসিপিকে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। অর্থাৎ আট মাস পর বিএনপি ও জামায়াতের ভোট কিছুটা কমেছে আর এনসিপির ভোট সামান্য বেড়েছে।

জরিপে গত অক্টোবরে ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকে (এখন কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

সেটি এখন কমে হয়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর বাইরে জাতীয় পার্টির ভোট শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ, অন্যান্য ইসলামি দলের ভোট ২ দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে নেমেছে শূন্য দশমিক ৭০ শতাংশ।

অবশ্য আপনার নির্বাচনী এলাকায় কোন দলের প্রার্থী জিতবে বলে মনে হয়—এমন প্রশ্নে ৩৮ শতাংশ মানুষ বিএনপির কথা বলেছেন। এই প্রশ্নের উত্তরে ১৩ শতাংশ মানুষ জামায়াত ও ১ শতাংশ এনসিপির কথা বলেছেন। আর আওয়ামী লীগের কথা বলেছেন ৭ শতাংশ মানুষ।

অনুষ্ঠানে জরিপের ফল তুলে ধরেন বিআইজিডির ফেলো অব প্র্যাক্‌টিস সৈয়দা সেলিনা আজিজ। তিনি জানান, জরিপের জন্য গ্রাম ও শহরের নানা শ্রেণি-পেশার ৫ হাজার ৪৮৯ জন মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের ৫৩ শতাংশ পুরুষ, ৪৭ শতাংশ নারী; ৭৩ শতাংশ গ্রামের ও ২৭ শতাংশ শহরের।

জরিপে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, চলমান সমস্যা, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে টেলিফোনে প্রশ্ন করে মতামত জানতে চাওয়া হয়। গত ১ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত সময়ে এই জরিপ চালানো হয়। এর আগে গত অক্টোবরের তথ্যের ভিত্তিতে ডিসেম্বরে বিআইজিডির দ্বিতীয় পালস সার্ভের ফল প্রকাশ করা হয়েছিল।

রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ কমেছে
বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনি কি মনে করেন বাংলাদেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে, এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল বিআইজিডির জরিপে। এর উত্তরে ৪২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন দেশ রাজনৈতিকভাবে সঠিক পথে আছে আর ৪৫ শতাংশ মানুষের মত হলো দেশ অর্থনৈতিকভাবে সঠিক পথে আছে। গত বছরের অক্টোবরে ৫৬ শতাংশ মানুষ বলেছিলেন দেশ রাজনৈতিকভাবে সঠিক পথে আছে আর ৪৩ শতাংশ বলেছিলেন অর্থনৈতিকভাবে সঠিক পথে আছে। অর্থাৎ দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে আশাবাদ সামান্য বেড়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তা কমেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এ পর্যন্ত যেসব প্রচেষ্টা, সেগুলোকে আপনি ১০০-তে কত নম্বর দেবেন, এই প্রশ্নে সরকারকে ৬৩ শতাংশ নম্বর দিয়েছেন উত্তরদাতারা। গত অক্টোবরে এটি ছিল ৬৮ শতাংশ।

ভালোভাবে সংস্কার করে তারপর নির্বাচন চান ৫১ শতাংশ মানুষ। কিছু জরুরি সংস্কার করে নির্বাচন চান ১৭ শতাংশ। সংস্কার বাদ দিয়ে নির্বাচন দেওয়া ভালো বলে মনে করেন ১৪ শতাংশ মানুষ। আর সংস্কার সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই বলেছেন ১৩ শতাংশ মানুষ।

কোন সংস্কারগুলো প্রয়োজন বলে মনে করেন, এই প্রশ্নে একাধিক উত্তর দেওয়ার সুযোগ ছিল। এর উত্তরে ৩০ শতাংশ মানুষ আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নের কথা বলেছেন। আইন ও বিচারব্যবস্থার উন্নতির কথা বলেছেন ১৬ শতাংশ।

এ ছাড়া ১১ শতাংশ মানুষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ১৬ শতাংশ অর্থনীতি বা ব্যবসা চাঙা করা, ১৩ শতাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানো, ১০ শতাংশ বেকারত্ব কমানো, ১৭ শতাংশ দুর্নীতি দমনের কথা বলেছেন। এর বাইরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অসহনশীলতা কমানো এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের কথা বলেছেন ১৯ শতাংশ করে মানুষ।

জাতীয় নির্বাচন কখন চান, এমন একটি প্রশ্নও করা হয়েছিল জরিপে। এর জবাবে ৩২ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা আগামী ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন চান। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন চান ১২ শতাংশ, জুনের মধ্যে ১১ শতাংশ আর ডিসেম্বর (২০২৬) অথবা পরে নির্বাচনের কথা বলেছেন ২৫ শতাংশ মানুষ।

জরিপে ৭০ শতাংশ মানুষ বলেন, তারা মনে করেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। সুষ্ঠু হবে না মনে করেন ১৫ শতাংশ আর এ বিষয়ে জানেন না বলেছেন ১৪ শতাংশ মানুষ।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘আর একটা পাথর সরানো হলে জীবন ঝালাপালা করে দেবো’ : সিলেটের ডিসি সারোয়ার আলম

‘আর যদি একটি পাথরও সরানো হয়, জীবন ঝালাপালা করে দেবো’— বলে কঠিনবিস্তারিত পড়ুন

পাঠ্যবইয়ে গণহত্যাকারী হিসেবে শেখ হাসিনার নাম যুক্ত হচ্ছে: আসিফ মাহমুদ

আগামী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে গুরুত্ব দিয়ে স্থান পাচ্ছে জুলাইবিস্তারিত পড়ুন

বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা নিয়ে ‘সুখবর’ পাচ্ছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা

এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ২০ শতাংশ করারবিস্তারিত পড়ুন

  • চা কফি খাওয়াতে পারবেন না ডাকসু প্রার্থীরা
  • আশুলিয়ায় ছয়জনের লা*শ পোড়ানোর ঘটনায় রাজসাক্ষী হলেন সাবেক এসআই আবজালুল হক
  • ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, পরবর্তী সরকারে কোনো পদে থাকব না- ড. মুহাম্মদ ইউনূস
  • সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা
  • প্রশাসনের বাইরে বঞ্চিত ৭৮ কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ
  • গুলিবিদ্ধ ১৬৭ জনের অনেকেরই মাথার খুলি ছিল না
  • ১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ
  • ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ ১০ সেপ্টেম্বর
  • ৪০০ কোটি টাকা দামে রাশিয়ার দুই হেলিকপ্টার কিনে বিপাকে বাংলাদেশ
  • প্রশাসনের বাইরে ৭৮ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পদোন্নতির সুপারিশ
  • সুস্থ সবল প্রজন্ম গড়ে তুলতেই হবে : প্রধান উপদেষ্টা
  • ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢুকতেই কমতে শুরু করেছে দাম