তালায় দোকানদারের স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
তালায় নারী লোভী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক কর্তৃক চায়ের দোকানীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেওয়া এবং একাধিক নারীর দুর্বলতা সুযোগে অসামাজিক কার্যাকলাপে বাধ্যকরা অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তালার বালিয়া গ্রামের মনছোপ গাজীর ছেলে মফিজুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি একজন দরিদ্র চায়ের দোকানদার।
১২ বছর পূর্বে খুলনার পাইকগাছার শ্রীরামপুর গ্রামের পরীআলী সরদারের কন্যা রিক্তা বেগমের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করে আসছিলাম। সাংসারিক জীবনে আমাদের একটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। আমার কন্যা অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী। সে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। আমার স্বপ্ন আছে কন্যাকে ডাক্তার বানাবো। সে ডুমুরিয়া প্রাইমারী স্কুলে পড়াকালিন সময়ে আমার স্ত্রী রিক্তা খাতুন বিদ্যালয়ে আশা যাওয়া করত। সে সুযোগে স্ত্রীর উপর কুনজর পড়ে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের। নারী লোভী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন কৌশলে আমার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে।
একপর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে ব্লাক মেইল করে আমার স্ত্রীর সাথে অবৈধ মেলামেশা করতে থাকে শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক। বিষয়টি আমি অবগত হওয়ার পরও শুধু মাত্র আমার কন্যার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্ত্রীকে অনেক বাধা দিয়েছি, বুঝিয়েছি। একপর্যায়ে সে ভালো হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে ভারতে কাজের জন্য পাঠিয়ে দেয়। পরে শিক্ষক রাজ্জাকের ব্লাক মেইলের কারনে আবারো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং আমার বাড়ি থেকে ৮০ হাজার টাকা ও সোনার গহনাসহ প্রায় ৩/৪লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে শিশু কন্যাকে রেখে ওই শিক্ষক রাজ্জাকের হাত ধরে চলে যায়। সে সময় আমার জমিজমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নিয়ে যায় রিক্তা। তিনি আরো বলেন শিক্ষকরা জাতির গঠনের কারিগর। কিন্তু এ কেমন চরিত্রহীন শিক্ষক।
শিক্ষার্থীর মায়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে সংসার নষ্ট করে দেয়। শিক্ষক রাজ্জাক শুধু আমার সংসার ভাঙেনি শিক্ষকতার সুযোগে এলাকার অনেক নারীদের ফাঁদে ফেলে কামবাসনা চারিতার্থ করে। সংসার নষ্ট করে। একজন শিক্ষক যদি নস্ট হয় তাহলে পুরো জাতি নষ্ট হয়। কলঙ্কিত হয়। ওই শিক্ষকের কারণে বিদ্যালয় কলঙ্কিত হয়েছে, এলাকা কলঙ্কিত হচ্ছে। তার নারী কেলেঙ্কারির কারনে এলাকায় একাধিকবার শালিস হয়েছে।
জরিমানও দিতে হয়েছে শিক্ষক রাজ্জাকের। তার কারনে বর্তমানে আমি একমাত্র শিশু কন্যা সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমি ওই নারী লোভী শিক্ষক নামের কলঙ্ক আব্দুর রাজ্জাককে চাকুরিচ্যুতকরাসহ আমার সংসার ভাঙ্গার অপরাধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা অফিসার, জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)