ধর্ষণের মিথ্যা মামলা: বাদীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে ধর্ষণের মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় নন্দ রানী (৩১) নামে এক বাদীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৫ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বাসিন্দা নন্দ রানী রাতে তার নিজ ঘরে শুয়ে পড়েন। এ সময় পূর্ব পরিচিত একই গ্রামের সাত্তার প্রধানের ছেলে মৎস্যজীবী আবুল হায়াত আলী তার রুমে প্রবেশ করলে তিনি চোর বলে চিৎকার করেন। এবং তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে মর্মে কালাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালাই থানার এসআই রতন কুমার রায় মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৫ আগস্ট আদালতে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করেন। যেখানে এ মামলার কোনো সত্যতা নেই বলে জানানো হয়। কিন্তু বাদী নারাজি দিলে মামলাটি আবারও চলতে থাকে। এক পর্যায়ে দীর্ঘদিন মামলাটি চললেও মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে বাদীকে হাজির করা হলে তিনি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে স্বীকার করেন।
অন্যদিকে একমাত্র আসামিও আদালতকে জানান এ মামলায় তাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় বিচারক দুপক্ষের বক্তব্য শুনে মামলার বাদী নন্দ রানীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আর পাঁচ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। আর আসামি আবুল হায়াত আলীকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।
এ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌসুলী অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও জয়পুরহাটে পরপর তিনটি ধর্ষণের মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তিনজন বাদীকে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন একই আদালতের বিচারক।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)