প্রথম আলো দেশ ও জনগণের শত্রু: প্রধানমন্ত্রী
দৈনিক প্রথম আলো আওয়ামী লীগ, জনগণ ও দেশের শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘স্বনামধন্য একটা পত্রিকা। নাম তার প্রথম আলো। খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু বাস করে অন্ধকারে।’
সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘ভাত, মাছ, মাংসের স্বাধীনতা চাই–একটা ছোট শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে এমন মিথ্যা কথা বলানো হলো! আর সেই কথা রেকর্ড করে প্রচার করা হলো। আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, তারা এ দেশে কখনো স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৭ সালে যখন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়, তখন তারা উৎফুল্ল হয়। দুটি পত্রিকা আদাজল খেয়ে নেমে গেল। বাহবা কুড়াল। আর তার সঙ্গে আছেন একজন সুদখোর। সে আবার যুক্তরাষ্ট্রের খুবই প্রিয়। যুক্তরাষ্ট্র একবারও জিজ্ঞাসা করে না যে, ব্যাংক (গ্রামীণ ব্যাংক) একটা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। সরকারের বেতন তুলত যে এমডি, সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে পেল যে যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করছে; বিনিয়োগ করছে।’
যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র কোথায় প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা গরিবের রক্তচোষা টাকা বিদেশে পাচার করে শতকোটি টাকার মালিক হচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে মানবতার কথা শুনতে হয়। তারা আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যান। তারা এ দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।’
অগণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যদিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল হচ্ছে জাতীয় সংসদ। সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের মুখ থেকেও গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে এসে নাকি কিছুই দেয়নি। দেশ নাকি ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু আমি বলতে চাই, আমরা রক্ত দিয়ে সংগ্রাম করে স্বাধীনতা এনেছি। এই স্বাধীনতার সুফল বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। আমরা নিজেদের ভাগ্য গড়তে আসিনি। নিশ্চয়ই দেশবাসী বিশ্বাস করে যে ১৪ বছর একটানা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের মানুষের ভাগ্য ফেরাতে পেরেছি।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বাংলাদেশও তার থেকে পিছিয়ে নেই। তারপরও আমরা উৎপাদন বৃদ্ধি করে, অতিরিক্ত দামে জিনিস কিনে এনে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছি।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)