ভারত দিয়ে শুরু হবে স্টার্কের ১০০ মাইল গতির খোঁজ
গতি ভালোবাসেন এমন যেকোনো পেসারকে জিজ্ঞেস করলেই জবাবটা পেতে পারেন, ওটাই তো মোক্ষধাম। ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে বোলিং!
পেসারদের জন্য এ যেন স্বর্গীয় অনুভূতি। শরীরের সমস্ত শক্তি ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বলের গতি ১০০ মাইল তোলা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খুব কম পেসারই এমন অনুভূতির সঙ্গে পরিচিত। শোয়েব আখতার, ব্রেট লি ও শন টেইট। মিচেল স্টার্ক এ তালিকায় নিজের নামটা তুলতে চান।
করোনাভাইরাস মহামারির জন্য মাঠে নামতে পারেননি স্টার্ক। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে বাঁহাতি এ পেসারকে। তবে অলস সময় কাটাননি। জিমে ঘাম ঝরিয়ে শান দিয়েছেন শরীরে। পেশির শক্তি বাড়িয়ে ঘষা-মাজা করেছেন নিজের বোলিং অ্যাকশন। এসবই ঘণ্টায় ১০০ মাইল বেগে বল করার পরিকল্পনা থেকে। অস্ট্রেলিয়ান এ পেসার অপেক্ষায় আছেন ভারতের। বিরাট কোহলির দলের বিপক্ষে নিজেদের গ্রীষ্মকালীন ক্রিকেট মৌসুম শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। স্টার্ক বলের মাইল মিটারে ১০০ তোলার পরিকল্পনা করছেন ভারতের বিপক্ষে এ সিরিজ থেকে।
২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০.২ মাইল বেগে বল করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটাই দ্রুততম ডেলিভারি। শোয়েবই প্রথম বোলার যিনি ঘণ্টায় ১০০ মাইল ছুঁয়েছেন দুবার। এর দুই বছর পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০.১ মাইল বেগে বল করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার ব্রেট লি। ২০১০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ১০০.১ মাইল বেগে বল করেন অস্ট্রেলিয়ার আরেক সাবেক পেসার শন টেইট।
স্টার্ক যে খুব পিছিয়ে তা নয়। ২০১৫ সালে পার্থে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৬০.৪ কিমি (৯৯.৭ মাইল) গতিতে বল করেছিলেন তিনি। ৩০ বছর বয়সী এ পেসারের বিশ্বাস, করোনাকালে পাওয়া বিরতির সময় শরীরের ঘাম ঝড়ানো গতি বাড়ানোয় কাজে লাগবে। এ ছাড়াও চোটের ধকল কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা তো আছেই। কিউইদের বিপক্ষে সেই ম্যাচের পরই পা ভেঙে নিয়েছিলেন তিনি। এবার পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া স্টার্ক বলেন, ‘দুবার ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারের আশপাশে ছিলাম। দুবারই পায়ে চোট পেয়েছি। যখন সবকিছু ঠিক থাকবে, ছন্দে থাকব এবং কন্ডিশনও সহায়ক হবে তখন স্পিডগানের (গতি মাপার যন্ত্র) গতি বাড়াতে পারব। সম্ভবত এই বিরতিতে জিমে থাকা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ায় আমি আবারও সামর্থ্যের শেষ দেখার চেষ্টাটা করতে পারব।’
গতি বাড়াতে নিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়েও কাজ করেছেন বাঁ হাতি এ পেসার। তাঁর বিশ্বাস এতে কাজ হবে, ‘অ্যাকশনটা একটু ঘষামাজা করায় গতি ধরে রেখেই লাইন-লেংথে ধারাবাহিক থাকতে পারব। আমি এখনো জোরে বল করতে চাই এবং তা নিয়ে কোনো আপস করব না। তবে এটা করতে গিয়ে ব্যয়বহুল হওয়া যাবে। অ্যাকশনটা ঠিক করা এতে কাজে লাগবে।’
ডিসেম্বরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কথা ভারতের। সেখানে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে কোহলির দল।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)