যশোরের শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক মেঘনা ইমদাদ
অবসর কাটে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে। পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে। বেকার যুব সমাজকে পথ দেখানোর মাধ্যমে।
নিজ প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছেন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করছেন তাও আবার বিনামূল্যে। গড়ে তুলেছেন হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠান। কর্ম সংস্থান হয়েছে কয়েকশো মহিলার। গড়ে তুলেছেন স্বপ্ন লোকের পাঠশালা। এ পাঠশালায় স্থান পায় সমাজের পিছিয়ে পড়া পরিবারের সুবিধা বঞ্চিতরা ।
বলছিলাম অল্প বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসা এক নারীর গল্প। যার সামনে কোন বাঁধা, বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। চাকরি না করে চেষ্টা করেছেন চাকরী দেওয়ার। মানব সেবার অনন্য নজির স্থাপন করে দেখিয়েছেন সমাজের যে কোন অবস্থান থেকেই মানব সেবা করা যায়।
হার না মানা এ নারী যশোরের ঝিকরগাছার মেঘনা ইমদাদ।তিনি ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের সিএ ইমদাদুল হক ইমদাদ এর সহধর্মিনী । বর্তমানে মেঘনা ইমদাদ, পেন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক, কপোতাক্ষ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক, উইমেন ইমপাওয়ারমেন্ট এন্ড চাইল্ড রাইটস অর্গানাইজেশনের সভানেত্রী, রুপান্তর হস্তশিল্প এন্ড ফ্যাশন পার্কের পরিচালক, সেন্টার ফর রিচার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর ইয়াং বাংলা, জাগ্রত নাগরিক কমিটি, জাতীয় যুব কাউন্সিল ও যশোর কম্পিউটার সমিতির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন।
মেঘনা ইমদাদের অনন্য অবদানের মধ্য রয়েছে , সমাজের পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গড়ে তুলেছেন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “স্বপ্নলোকের পাঠশালা”। যেখানে শ্রমজীবী, স্বামী পরিত্যাক্ত, বিধবা, অসহায় মায়েদের সুবিধাবঞ্চিত ১৭০ জন শিশু বিনামূল্যে আনন্দের সাথে শিক্ষা গ্রহণ করছে।
এলাকার বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে গড়ে তুলেছেন ‘কপোতাক্ষ’ কারিগরি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এ প্রতিষ্ঠানে ৬ মাস মেয়াদী ডাটাবেস প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল ভূমি জরিপ, ফ্রিল্যান্সিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৮’শ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। স্বামী পরিত্যাক্ত ও বেকার মহিলাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ব্লক বুটিক, দর্জি প্রশিক্ষণ ও এমব্রোডারী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য যেমন- থ্রী-পিস, নকশীকাঁথা, শাড়ি, বেডশীট, পাঞ্জাবি ও হস্তশিল্প পণ্য নিজেই ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং করেন।
এরই মধ্য তার এ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শিক্ষা, কারিগরি ও তথ্য প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২২। ২০১৭ সালে ঝিকরগাছা উপজেলার জয়িতা পুরস্কার অর্জন, ২০২০ সালে জয়বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড টপ-৫০ নির্বাচিত ও ২০২১-২২ অর্থবছরে যশোরের শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠন হিসেবে পুরষ্কার পেয়েছেন।
মেঘনা ইমদাদ বলেন, ‘মানুষের জন্য কাজ করতে পারার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সব সময় চেষ্টা করেছি সবার জন্য কিছু করার। এখন অনেকটা সফল। এ কাজ চলমান থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নামে পুরষ্কার প্রাপ্তি আমার কাছে শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি এবং সম্মানেরও। এ সকল অনুপ্রেরণা আমার সামনের কাজ গুলো আরও সহজ করে দেবে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)