বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

৬ ডিসেম্বর কলারোয়া পাকিস্থানি হানাদার মুক্ত দিবস

৬ ডিসেম্বর কলারোয়া পাকিস্থানি হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্থানী সেনাবাহিনীকে হটিয়ে অবরুদ্ধ কলারোয়াকে হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত করে স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করে।

সূত্র মতে, মহান মুক্তিযুদ্ধের কলারোয়ায় ৩৪৩ জন বীর সন্তান অংশ নেন। শহীদ হন ২৭জন মুক্তিযোদ্ধা এর মধ্যে কলারোয়ার বীর সন্তান ৯জন। আর এ পর্যন্ত কলারোয়ার ৮টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে কলারোয়ায় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয় ছয়টি। প্রতিটি যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে পাকবাহিনীকে পরাস্থ করে। কলারোয়া অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে শতাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত প্রবাসী সংগ্রাম পরিষদ।

সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন এমসিএ প্রয়াত মমতাজ আহম্মেদ, প্রয়াত ভাষা সৈনিক শেখ আমানুল্যাহ, প্রয়াত বি,এম নজরুল ইসলাম, প্রয়াত মোসলেম উদ্দীন, স্বর্গীয় শ্যামপদ শেঠ, প্রয়াত ইনতাজ আহম্মেদ, প্রয়াত মোছলদ্দীন গাইন ও প্রয়াত ডাঃ আহম্মদ আলী। কলারোয়া এলাকা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সেক্টরের অধীনে। পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম যুদ্ধ পরিচালনা করেন কলারোয়ার দুই বীরযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীন ও আব্দুল গফ্ফার।

এই দুই বীরযোদ্ধার নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন কলারোয়ার বীর সন্তান সৈয়দ আলী, গোলাম মোস্তফা, আবুল হোসেন ও আঃ রউফসহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে সংগঠিত রক্তক্ষয়ী ওই যুদ্ধে ৬শতাধিক পাকিস্থানী সেনা নিহত হয়।

কলারোয়ায় পাক হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি বড় ধরনের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধেই ২৯ জন পাকিস্থানী সেনা নিহত হয়। শহীদ হয় ১৭জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর কলারোয়ার সীমান্ত এলাকা কাকডাঙ্গা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনের মুখে হানাদাররা কাকডাঙ্গার ঘাটি ছাড়তে বাধ্য হয়। এ ভাবে দীর্ঘ ৯ মাস কলারোয়ার বিভিন্ন স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনে অবশেষে ৬ ডিসেম্বর পাকিস্থানী সেনারা কলারোয়া ছাড়তে বাধ্য হয়।

এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা কলারোয়াকে মুক্ত করে, কলারোয়া থানা চত্বরে স্বাধীনদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এই দিনে কলারোয়ার স্বাধীনচেতা মুক্তমনের মানুষ স্বাধীনতা লাভে স্বাধীন পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আনন্দ, উল্লাস প্রকাশ করে।

যথাযোগ্য মর্যাদায় কলারোয়া হানাদার মুক্ত দিনটি পালনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা যায়।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় হাবিবুল ইসলাম কলেজে মতবিনিময় সভায় কলেজ পরিদর্শক

কে এম আনিছুর রহমান : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় হাবিবুল ইসলাম কলেজের আয়োজনে শিক্ষারবিস্তারিত পড়ুন

শেখ হাসিনার গাড়িবহর মামলায় খালাসের রায়ে কলারোয়ায় বিএনপির আনন্দমিছিল

শেখ হাসিনার গাড়িবহর হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সকল নেতৃবৃন্দ উচ্চ আদালত থেকে খালাসবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় শিশুর অধিকার সম্পর্কে আলোচনা সভা

‘কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহন করি, বেকারমুক্ত সমাজ গড়ি’- শীর্ষক স্লোগানে কলারোয়ায় বেকার যবুদেরবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে শ্যামনগর
  • কলারোয়ায় দুই মেয়ের পর তৃতীয় মেয়ের জন্ম, নবজাতককে পানিতে ফেলে হ*ত্যা, মা আটক
  • কলারোয়ার নাথপুর দিঘিরকান্দা থেকে সেগুন ও মেহগনি গাছ ও জ্বালানী কাঠ চুরি!
  • কলারোয়ার ওফাপুর মাঠপাড়া মাঝের খাল পুন:সংস্কারের উদ্বোধন
  • কলারোয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ধুলিহর
  • কলারোয়ায় বাঁশের ভাসমান সাঁকোয় নদী পারাপার
  • কলারোয়ায় তিন ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ডে মহিলা দলের সমাবেশ
  • কলারোয়ায় সীমান্ত বহুমুখী সমবায় সমিতির উদ্যোগে ফলজ বৃক্ষের চারা বিতরণ
  • কলারোয়ার আহসাননগর রাস্তার বেহাল দশায় ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ
  • সাতক্ষীরা জেলা চিংড়ি সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা
  • কলারোয়ার শাকদহ খানপাড়া জামে মসজিদের দ্বিতল ভবনের কাজের উদ্বোধন
  • কলারোয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষায় পাস ৭৪.৯১%