আদালতে ভিআইপি বন্দিদের হাতে ব্যাগ কেন, জানে না কেউ
আদালতে ভিআইপি বন্দিদের হাতে থাকা ব্যাগে কী থাকে এ নিয়ে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ব্যাগের ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর বন্দিদের সম্পূর্ণ দায়িত্ব পুলিশের। ফলে ব্যাগের বিষয়টি পুলিশই বলতে পারবে। তবে সাধারণ বন্দিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা সময় তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় দুপুরের খাবার হিসাবে রুটি, কলা ও ডিম। ভিআইপি বন্দিদের কোনো খাবার দেওয়া হয় না। কারণ সাধারণত তাদের দুপুর ১২টা মধ্যেই আদালত থেকে কারাগারে ফিরিয়ে আনা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে আদালতে ভিআইপি বন্দিদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানসহ অনেকের হাতে ব্যাগ দেখা গেছে। বর্তমানে কাশিমপুর পার্ট-২ কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। এ কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন জানিয়েছেন, আদালতে ব্যাগ বহনের বিষয়টি আমার জানা নেই। কারাগার থেকে ভিআইপি বন্দি বের হওয়ার পর তাদের দায়িত্ব পুলিশের। কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় বন্দিদের কোনো ব্যাগ প্রদান করা হয় না।
অন্যদিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানিয়েছেন, তার কারাগার থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ বন্দিকে আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে সাধারণ বন্দিদের দুপুরের খাবার বাবদ কলা, রুটি ও ডিম প্রিজন্স ভ্যানে তোলার আগে তাদের দেওয়া হয়। কিন্তু ভিআইপি বন্দিদের কোনো খাবার প্রদান করা হয় না। আদালতে ভিআইপি বন্দিদের অনেকের হাতে ব্যাগ দেখা যায় কেন— এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কারাগার থেকে বের ও প্রবেশের সময় দুই ক্ষেত্রেই ব্যাপক তল্লাশি করা হয়। কোনো বন্দিকে অবৈধ কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।
তবে কারাগারের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, আদালত এলাকায় অনেক সময় ভিআইপিদের স্বজনরা রুমাল, টাওয়ালসহ ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাগে করে আসামিদের প্রদান করে থাকেন।
এ ব্যাপারে ডিসি প্রসিকিউশন মো. তারেক জুবায়ের বলেন, বন্দিদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনার পর অনেকের হাতেই ব্যাগ দেখা যায়। কারাগার থেকে না আনলে তারা কোথা থেকে পায়? হতে পারে তারা ব্যাগে গরম কাপড় বহন করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি খোঁজ নেবেন বলে জানান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)