আশাশুনি সদরে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার তদারকি
আশাশুনি প্রতিনিধি ঃ আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে শীতকালীন সবজির দাম কম থাকলেও আশাশুনি সদরে দামের অনেক বেশি হওয়ায় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আশাশুনি সদরে বাজার তদারকি করেছে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
শনিবার(০৯ ডিসেম্বর) বিকালে সাপ্তাহিক হাটের দিনে সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন এর নেতৃত্বে এ তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গণমাধ্যমের সংবাদ শুনে পেঁয়াজের দাম তো কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনগুণ বাড়িয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই সুযোগে শীতকালীন সবজির দামও বাড়িয়েছেন সদর ও বাইরে থেকে আসা ভ্রাম্যমাণ পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা।
শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত আশাশুনিতে ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হলেও গণমাধ্যমে সংবাদ শুনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পায়। শনিবার বিকালে সাপ্তাহিক হাটের দিনে তা আরও ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের পেঁয়াজ। কেউ কেউ আবার পেঁয়াজ মজুদ করেছেন। এক পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতারা বলেন আমি ১৩০ টাকা কিনে ১৭০ টাকা বিক্রি করছি।
এদিকে শীতকালীন সবজি ফুলকপি বুধবারের হাটে ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও শনিবার হাটে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। ওলকপি ১৫ টাকার স্থলে ২৫ টাকা, নতুন আলু ৫০ এর স্থলে ৬৫, পুরানো আলু ৪৮ এর স্থলে ৫৫ টাকা, বেগুন ৩০ এর জায়গায় ৪৫, সিম ৩০এর জায়গায় ৪০, কাঁচা ঝাল ৮০ টাকার জায়গায় ১২০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। লালশাক, পালংশাক, মুলাশাক, ধনেপাতার দাম বেড়েছে ২ থেকে ৫ টাকা।
গত হাটের তুলনায় পেঁয়াজের কালি (৬০) ও টমেটোর (৫০) দাম অপরিবর্তিত আছে। হাটে আসা চাম্পাফুল ও বুধহাটা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান আমাদের বাজারে তুলনামূলক ভাবে শাক-সবজির দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা কম বিক্রি হচ্ছে।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন- এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী আসন্ন নির্বাচনে সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব করছে। এসব বিবেচনা করে আশাশুনি সদর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে হাট-বাজার তদারকি করা হয়েছে। এসময় আশেপাশের বাজার ছাড়া দরদামের ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। সবাইকে প্রাথমিক ভাবে সতর্ক করা হয়েছে। এর পরেও যদি কাজ না হয় তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ওজনে কম দেওয়ায় বাজারের স্থায়ী সবজি বিক্রেতা চাম্পাফুল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বাটখারা পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবয়ক য়াহিয়া ইকবাল, যুগ্ম আহবায়কা নলিনী রঞ্জন মন্ডল, তুলসী চন্দ্র পাল, আশরাফুল ইসলাম, ডা. কামরুজ্জামান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন প্রিন্স, সদস্য মফিজুল ইসলাম লিংকন, জাহিদুল ইসলাম বাবু সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)