ইউপি নির্বাচনের আমেজ শুরু হয়েছে কলারোয়ার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে


আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে সামনে নিয়ে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে কলারোয়ার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে।
চায়ের দোকানগুলোতে নির্বাচনী আমেজ জমে উঠেছে। চা বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে এখানকার মানুষের সকালে ঘুম ভাঙলেই যেন এক কাপ চা না খেলে তাদের সারাদিন চলেই না। আর সকাল হলেই উপলব্ধি করা যায় গ্রামীণ মানুষের ছোট ছোট চায়ের দোকানে ভিড় জমানো আড্ডা।
ইউনিয়নের হাটবাজারের চায়ের দোকানগুলোতে কী রকম নির্বাচনী আমেজ, আর খেটে খাওয়া মানুষের চাওয়া পাওয়া কি? সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের কাছে।
অনেকেই আবার বিশ্লেষণ করছেন, দলীয় মনোনয়ন কে বা কারা পেতে পারে সেটাও দেখার বিষয়।
এবার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে অর্ধ ডজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ডজন চারেক মেম্বার প্রার্থী ইতোমধ্যে নড়েচড়ে বসেছেন। অনেকে শুরু করেছেন মতবিনিময়, খোঁজ খবর নিচ্ছেন সাধারণ ভোটারদের। বিভিন্ন ধরনের আচার অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
ভোটারদের মনোভাব জানতে এ প্রতিবেদক বিভিন্ন চায়ের দোকান ঘুরে খেটে খাওয়া মানুষের সাথে আলাপ করেন। তাদের সবার একটাই দাবি এলাকায় যেন কোন ধরনের হানাহানি ছাড়া শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কেঁড়াগাছি বাজারের এক চা স্টলে কিছু সময় বসলে শোনা যায়, আগামী নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা। কিছু সময় কথাবার্তা শুনে এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের উত্তরে একজন বৃদ্ধ জানান, বাবা আগে আমরা ভোট দিয়েছি সে সময় এরকম কোনো হানাহানি মারামারি ছিল না। এখন যেন নির্বাচন আসলেই হানাহানি মারামারি হয়। এ রকম হলে আমি ভোট দিতে যাব না। আর যদি কোনো ধরনের ঝামেলা না হয় তাহলে ভোট দিতে যাব।
বালিয়াডাংগা বাজারের এক চা দোকানদার নির্বাচন নিয়ে বলেন, সামনে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তাই মানুষের উপস্থিতি বেশি আর তাই আমার চা বেচাও অনেক বেশি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, এবারের নির্বাচনে কোনো ধরনের হানাহানি মারামারি হবে না। নির্বাচন হবে সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ।
চায়ের দোকানে কয়েকজন ভোটার বলেন, এবারের নির্বাচন সুষ্ঠ নিরপেক্ষ হবে, কোনো ধরনের হানাহানি হবে না- এমনই প্রত্যাশা। সর্বদা সুখে দুঃখে আমাদের পাশে থাকবে এমন প্রার্থী আমরা চাই।
আবার কেউ কেউ মুখ খুলছে না। কয়েকজন নবীন ভোটার বলেন, যখন ছোট ছিলাম তখন বুঝতাম নির্বাচন আসলে কত যে আনন্দ। ঈদে যে রকম খুশিও আনন্দ হয়, সে রকম আনন্দ করতাম। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক রকমের দোকান বসত। তখনতো আর আমরা ভোট দিতে পারতাম না। আমরা তরুণরা এ রকম কোন নির্বাচন চাই না, যে নির্বাচনে নেই কোনো আনন্দ রয়েছে শুধু বেদনা।
সব দিক বিবেচনা করে, যে প্রার্থী এবারের নির্বাচনে তরুণ প্রজন্মের নিজের দিকে টানতে পারবে, তার পাল্লা ভারী হবে- এমনটি অভিমত বিশ্লেষকদের।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
