শনিবার, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

একাত্তরের রণাঙ্গনের যুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল গফ্ফার এঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

জুলিকার আলী, কলারোয়া: আজ ১৩ ডিসেম্বর, বুধবার মহান মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল গফ্ফার (৮০) এঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গত বছর (২০২২) আজকের এই দিনে মহান বিজয় দিবসের মাত্র দুই তিন আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যাঁদের নিরন্তর লড়াই ও প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, তাঁদেরই একজন বীর যোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমান্ডার আব্দুল গফ্ফার।

যে ডিসেম্বরে যাঁর বীরত্বে আমরা কলারোয়াকে পাক হানাদার মুক্ত করেছিলাম। তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। এক বছর পেরিয়ে গেল তাঁর দীর্ঘ কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে।

লড়াকু যোদ্ধা আব্দুল গফ্ফার মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের বহুড়া (দক্ষিণ) গ্রামে। তাঁর জন্ম ১৯৪২ সালের ১৩ এপ্রিল। তাঁর পিতার নাম মরহুম তছিরুদ্দিন গাজী। জানা যায়, স্কুল জীবন থেকেই তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ১৯৫৮ সালে যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া হাইস্কুলে পড়াশুনা করাকালীন তিনি ন্যাপ (ভাসানী) করতেন।

পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। উত্তাল একাত্তরের মার্চে তিনি যান ঝিকরগাছার লাউজানি এলাকায়। পরে তিনি ভারতের হাকিমপুর এলাকার স্বরূপদহে যান। ভারতের বসিরহাট সংলগ্ন টাকিতে শাহাজাহান মাস্টারের নেতৃত্বে আড়াই শ’র মতো মুক্তিকামী যোদ্ধা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। একাত্তরের ২৯ মে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী ভোমরা সম্মুখ যুদ্ধ। এই যুদ্ধে প্রায় দুই থেকে আড়াইশ’ পাক সেনা নিহত হয। ভোমরার এই সাফল্য মুক্তিযোদ্ধাদের মানসিক শক্তি বাড়িয়ে দেয় অনেকখানি।

ভোমরার সফল যুদ্ধ শেষে কমান্ডার আব্দুল গফফার ফিরে আসেন কলারোয়ার বালিয়াডাঙ্গায়। সেখানে ১৭ অক্টোবর পাক বাহিনীর সাথে শুরু হয় ভয়াবহ এক সম্মুখ যুদ্ধ। দুই দিন ধরে চলে এ যুদ্ধ। যুদ্ধে অংশ নেন ৩/৪শ’র মতো মুক্তিযোদ্ধা। থেমে থেমে চলে বালিয়াডাঙ্গার এই যুদ্ধ। এই যুদ্ধে মারা যায় অগুনতি পাকসেনা।

শহিদ হন ২৯/৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা। এরপর সেখান থেকে চন্দনপুর, ইলিশপুর, বাগআচঁড়া, খোরদো, সোনাবাড়িয়া, ঝাঁপাঘাট এলাকায় যুদ্ধ করেন তিনি। একাত্তরের ৬ ডিসেম্বর কলারোয়া পাক হানাদার বাহিনী মুক্ত হওয়ার পরও তিনি থেমে থাকেননি। যোগ দিয়েছেন মনিরামপুরসহ একাধিক এলাকা মুক্ত করার সংগ্রাম ও যুদ্ধে।

প্রয়াত কমান্ডার আব্দুল গফফারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৩ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে কলারোয়ার কোমরপুর এতিমখানায় শিশুদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পারিবারিকভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর পুত্র এশিয়ান টিভির সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম লিটন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

শিক্ষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি সাবেক এমপি হাবিবের

সেলিম হায়দার, তালা (সাতক্ষীরা): আমি এ এলাকায় কাজ করতে চাই। আমার দ্বারাবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় ডাকসু’র পক্ষে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ

দেবহাটা প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)তে নবনির্বাচিত বিজয়ীদের পক্ষ থেকেবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর আছে, চলাচলের রাস্তা নেই, নেই কবরস্থানও

মোস্তফা হোসেন বাবলু, কলারোয়া (সাতক্ষীরা): সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের জানখাঁ নীলকুঠিরবিস্তারিত পড়ুন

  • জামায়াতে ইসলামির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে: ইজ্জত উল্লাহ
  • মানুষের কাছের মানুষ কলারোয়ার মানবিক ইউএনও জহুরুল ইসলাম
  • কলারোয়ায় ব্র্যাকের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের কর্মশালা
  • সাতক্ষীরায় ৯-১৫ বছর বয়সী ৫লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে
  • কলারোয়ায় কৃষি ব্যাংকের তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে গ্রাহক সমাবেশ
  • বেত্রবতী হাইস্কুলে শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা
  • কলারোয়ার নবাগত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে শুভেচ্ছা জানালেন শিক্ষকরা
  • কলারোয়ার কেরালকাতায় ডিডিপি’র মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
  • কলারোয়ায় ‘জীবন পরিবর্তনে হজ্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা ও হজ্ব ওরিয়েন্টেশন
  • কলারোয়া বেত্রবতী হাইস্কুলে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী(সাঃ)উদযাপন
  • কলারোয়ার কেঁড়াগাছিতে ফুটবল টুর্নামেন্টে স্বাগতিকরা চ্যাম্পিয়ন
  • কলারোয়ায় দুই মাদকসেবীকে কারাদন্ড ও জরিমানা