রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

এমন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ চাই না

এমন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ চাই না

শেখ শাকিল হোসেন

বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের উত্থানে যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে সেটি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। বায়ান্ন ’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ঊননব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সবখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার জৌলুশ দেখিয়েছে। বলা হয়ে থাকে, এটি পৃথিবীর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটি একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছে। অন্যায়-অবিচারের প্রশ্নে যে প্রতিষ্ঠানটি কোনদিন আপোষ করেনি, আজ সেই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ।

বিগত ৯ দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।

ঈদের পরের দিন শনিবার সকালে হাফিজুর রহমান তার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেদিন সন্ধ্যায় মা তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেছেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যথারীতি থানায় অভিযোগও করা হয়।

নিখোঁজের ৯ দিনের মাথায় গতকাল (২৩ মে) হাফিজুর রহমানের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ঈদের পরের দিন (১৫ মে) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এতগুলো দিন তার লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। হাফিজুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টা বাদ দিলাম। হত্যা নাকি আত্মহত্যা- সেই বিতর্কও বাদ দিলাম। তবুও, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এ ঘটনার দায় কিভাবে এড়াতে পারে? বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতেই তার মৃতদেহ পাওয়া গেল। আর সেটা যে হাফিজুর রহমানের লাশ, এটা শনাক্ত করতে ৯ দিন চলে গেল! বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদৌও এই ঘটনাটা জানতো? ওয়াকিবহাল থাকাটা প্রশাসনের দায়িত্বের ভেতরেই পড়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দিনদিন শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ছাত্রদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাওয়া শিক্ষার্থীর লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে দিনের পর দিন মর্গে থাকছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। আমরা এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই না।

 

 

লেখক:
শেখ শাকিল হোসেন,
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সভাপতি, সাতক্ষীরা স্টুডেন্ট সোসাইটি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় চার দলীয় দিবারাত্রির ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপা খুলনা ভেটেরান্সের

নিজস্ব সংবাদদাতা: কলারোয়ায় চার দলীয় দিবারাত্রির ফুটবল টুর্নামেন্টের (চল্লিশোর্ধ্ব) শিরোপা জয় করেছেবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলাধীন ঝাউডাঙ্গা প্রেসক্লাবের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটিবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় প্রায় ১৩ কেজি রৌপ্যসহ ৩০ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

গাজী হাবিব, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামি বিহীনবিস্তারিত পড়ুন

  • সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
  • কলারোয়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে মহাত্মা হ্যানিম্যানের জন্মবার্ষিকী পালিত
  • কলারোয়ায় ই ল্যাব ডায়াগনস্টিকের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
  • কলারোয়ায় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক
  • সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে ২০ লক্ষ টাকার ভারতীয় পন্য জব্দ
  • সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত
  • সাতক্ষীরা জেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের কমিটি গঠন
  • সাতক্ষীরায় সাংবাদিক আবু সাঈদকে হু*মকি, থানায় জিডি
  • সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গায় আঞ্চলিক হাজী সম্মেলন অনুষ্ঠিত
  • ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার উদ্যোগে পল্লী উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি
  • সাতক্ষীরায় ভোমরা কাস্টমস্ সিএন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ফ্রি চক্ষু চিকিৎসা শিবির
  • সাতক্ষীরার ইছামতি ও কালিন্দী নদীর ভাঙনে বদলে যাচ্ছে মানচিত্র