শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

এমন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ চাই না

এমন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ চাই না

শেখ শাকিল হোসেন

বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের উত্থানে যে প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে সেটি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’। বায়ান্ন ’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয়দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ঊননব্বই এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সবখানে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার জৌলুশ দেখিয়েছে। বলা হয়ে থাকে, এটি পৃথিবীর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটি একটি স্বাধীন দেশের জন্ম দিয়েছে। অন্যায়-অবিচারের প্রশ্নে যে প্রতিষ্ঠানটি কোনদিন আপোষ করেনি, আজ সেই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ।

বিগত ৯ দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি মাইম অ্যাকশনের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান।

ঈদের পরের দিন শনিবার সকালে হাফিজুর রহমান তার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেদিন সন্ধ্যায় মা তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেছেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যথারীতি থানায় অভিযোগও করা হয়।

নিখোঁজের ৯ দিনের মাথায় গতকাল (২৩ মে) হাফিজুর রহমানের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। ঈদের পরের দিন (১৫ মে) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে পুলিশ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এতগুলো দিন তার লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। হাফিজুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টা বাদ দিলাম। হত্যা নাকি আত্মহত্যা- সেই বিতর্কও বাদ দিলাম। তবুও, বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ এ ঘটনার দায় কিভাবে এড়াতে পারে? বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাতেই তার মৃতদেহ পাওয়া গেল। আর সেটা যে হাফিজুর রহমানের লাশ, এটা শনাক্ত করতে ৯ দিন চলে গেল! বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আদৌও এই ঘটনাটা জানতো? ওয়াকিবহাল থাকাটা প্রশাসনের দায়িত্বের ভেতরেই পড়ে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দিনদিন শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ছাত্রদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাওয়া শিক্ষার্থীর লাশ ‘অজ্ঞাতনামা’ পরিচয়ে দিনের পর দিন মর্গে থাকছে। অথচ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিশ্চুপ। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ। আমরা এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই না।

 

 

লেখক:
শেখ শাকিল হোসেন,
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সভাপতি, সাতক্ষীরা স্টুডেন্ট সোসাইটি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় এবার ধান ক্ষেতের সাথে শত্রুতা

দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী বাবু: কলারোয়ার ধানদিয়ায় ব্যক্তি শত্রুতা ধানের জমিতে। ঘাস পোড়া স্প্রেবিস্তারিত পড়ুন

মানবতা সংঘের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিক উপলক্ষে কেরাত আযান গজল অনুষ্ঠিত

ইতিবাচক চিন্তা করি সুন্দর একটি সমাজ গড়ি এই প্রতি পাদ্যকে সামনে রেখেবিস্তারিত পড়ুন

আশাশুনির বড়দল লক্ষীখোলা খাস ও ভিপি সম্পত্তিতে মৎস্য প্রকল্প সাময়িক স্থগিত

জি এম আল ফারুক, আশাশুনি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের লক্ষীখোলা গ্রামে সরকারিবিস্তারিত পড়ুন

  • আশাশুনির আনুলিয়ায় রাস্তায় ইট তুলে বিক্রি করলেন মেম্বার আলাউদ্দিন
  • শ্যামনগরে বাল্যবিয়ে বন্ধের দাবিতে গণজমায়েত
  • আশাশুনি প্রেসক্লাবের আয়োজনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত
  • সাতক্ষীরায় জাতীয় ছাত্র সমাজের ৪১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
  • তালায় ভোক্তাঅধিদপ্তরে অভিযানে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা
  • দেবহাটায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সভা
  • তালায় সিএসই কারিকুলামের উপর শিক্ষক প্রশিক্ষণ
  • সাতক্ষীরা জেলা যাত্রী ও পন্য পরিবহন কমিটির সভা
  • কলারোয়া সীমান্ত পথে অবৈধভাবে আসছে ভারতীয় পণ্য
  • সাতক্ষীরার ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর হাইস্কুলে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন
  • সাতক্ষীরায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
  • মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের শ্রদ্ধা নিবেদন
  • error: Content is protected !!