এসবই নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একটি কথা খুব পরিষ্কারভাবে আমরা বলতে চাই, যেটা আমরা এর আগেও বলেছিলাম যে, আমরা মনে করি যে, সব সংকটগুলোর মূলেই যে বিষয়টা আছে এটা হচ্ছে যে সত্যিকার অর্থে একটা গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচন (বানচাল)। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের যে পার্লামেন্ট তৈরি হবে সেই পার্লামেন্টে এসব যে সংস্কারগুলো হয়েছে তাকে তারা সংবিধানের মধ্যে নিয়ে আসবে এবং সেভাবে সেভাবে দেশ চলবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত সুপারিশমালার ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সেই কারণেই কিন্তু ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরে পরেই আমরা নির্বাচনের কথা বলেছিলাম। তখন আমাদেরকে অনেকে বলা হয়েছিল আমরা ক্ষমতা চাই সেজন্য আমরা অধিক দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছি। আজকে প্রমাণিত হচ্ছে যে, এই নির্বাচনটা যত দেরি হচ্ছে তত বেশি সেই ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলো শক্তিশালী হচ্ছে যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল দেখতে চায়, এখানে একটা এনার্কি তৈরি করতে চায়, এখানে একটা গণতন্ত্র যেন সত্যিকার অর্থে প্রতিষ্ঠিত না হয় সেই ব্যবস্থাটা দেখতে চায়।
সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ৩১ দফা দিয়ে আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলো এই ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনটা করেছি সেখানে সংস্কারের কথাই রয়েছে। বিএনপির জন্ম সংস্কারের মধ্য দিয়ে। কিন্তু অত্যন্ত সচেতনভাবে একটা প্রচারণা চালানো হলো বিএনপি সংস্কার বিরোধী… এটা মিথ্যা প্রচারণা। যে দলটির সংস্কারের মধ্য দিয়ে জন্ম সে কখনো সংস্কার বিরোধী হতে পারে না। সবচেয়ে বড় প্রমাণ এখানে জোনায়েদ সাকি সাহেব বলেছেন, এসব নিয়ে আমরা অনেক আগেই কাজ শুরু করেছি।
তিনি বলেন, একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে পাঁচ বছর একটা ভয়াবহ আবার একই রকমের একটা স্বৈরাচারী একটা সরকারের হাতে আমরা পড়েছিলাম আওয়ামী লীগের হাতে এবং তারপরে ৭৫ সালে পটপরিবর্তনের পরে সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিএনপি ফিরে নিয়ে এসেছিল। মিডিয়ার যে স্বাধীনতা সেটা বিএনপি প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এ বাস্তবতাগুলো তো অস্বীকার করব তার কোনো উপায় নেই। আমরাই প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ গভমেন্ট থেকে পার্লামেন্টারি ফর্ম অফ গভমেন্ট নিয়ে এসেছি। আমরা কেয়ারটেকার গভর্মেন্টের ব্যাপারে আপত্তি করলেও আমরাই কিন্তু ইলেকশন করে পার্লামেন্টের সারারাত জেগে সেই কেয়ারটেকার ব্যবস্থাকে পাশ করেছিলাম পার্লামেন্টে। সুতরাং বিএনপিকে কেউ সেইভাবে যদি যেভাবে বলতে চাই এটা হবে নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত, এটা সত্য নয়।
আলোচনা সভায় গণসংহতি আন্দোলেনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, চর্চা ডটকমের সম্পাদক সোহরাব হাসান, গ্রন্থের লেখক এহসান মাহমুদ, সাংবাদিক শাহনাজ মুন্নী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
একই রকম সংবাদ সমূহ
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। এবিস্তারিত পড়ুন
বন্ধ হচ্ছে অননুমোদিত মোবাইল ফোন
দেশে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ও নিবন্ধনবিহীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার রোধে আগামী ১৬ ডিসেম্বরবিস্তারিত পড়ুন
গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব, যেসব সুবিধা পাবেন
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষজ্ঞদেরবিস্তারিত পড়ুন
