কলারোয়ায় বাজার মনিটরিং ও জনসচেতনতা অব্যাহত পুলিশের
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রর্দুরভাব লাগামহীন ভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার ঘোষিত চলমান টানা ২ সপ্তাহের লকডাউন প্রায় শেষ। টানা দুই সপ্তাহের লকডাউনে একদিকে দেশের অর্থনীতির যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনি নানা মুখি সমস্যার সম্মুখিন দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষরা। যার কারণে বাধ্য হয়ে পেটের দায়ে দিনমজুররা লকডাউন উপেক্ষা করে বের হয় কাজের সন্ধানে। লকডাউন উপেক্ষা করা গেলেও ক্ষুধাকে তো আর উপেক্ষে করা যায় না।
তবে সার্বিক বাস্তবতার নিরিখে সরকারি বিধি নিষেধ জনগণকে মানানোর জন্য, রমজান মাসে রোজা রেখে দিন রাত ছুটে বেড়াচ্ছেন কলারোয়া থানা, খোরদো ফাঁড়ি ও সরসকাটি ফাঁড়ির পুলিশের সদস্যরা।
জানা গেছে, উপজেলার সরসকাটি পুলিশের ইনচার্জ তৌফিক আহম্মদ টিপু সঙ্গিয় ফোর্সের সহযোগিতায় জয়নগর ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও এলাকায় দিনরাত রোজা রেখে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে মানুষের পাশে রয়েছেন।
অনুরূপ দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মামুনুর রহমানও।
আর কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবীরসহ পুলিশ কর্মকর্তারাও পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনা প্রতিরোধে নানান কর্মযজ্ঞতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বাজার মনিটরিংসহ সার্বিক ভাবে জনগণের পাশে থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় পরামর্শ দিতে দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারে বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে পরামর্শ দিচ্ছেন।
তবে পুলিশ চলে গেলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেকেই আবার লকডাউন মানছেন না।
এদিকে, ২৫ এপ্রিল থেকে দোকানপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক পর্যায়ের ক্রেতারা স্বাগত জানিয়েছেন।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)