রবিবার, জুন ১৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

কলারোয়া পাকিস্থানী হানাদার মুক্ত দিবস ৬ ডিসেম্বর

১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর কলারোয়া থেকে পাকিস্থানী হানাদারদের বিতাড়িত করে মুক্তিকামী মানুষ স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করে আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে মুক্ত দিবস পালন করেন। দীর্ঘ ৯ মাস কলারোয়ার দামাল ছেলেরা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্থানী সেনাবাহিনীকে হটিয়ে অবরুদ্ধ কলারোয়াকে এই দিন মুক্ত করেন।

সূত্র মতে, মহান মুক্তিযুদ্ধে কলারোয়ায় ৩৪৩ জন বীর সন্তান যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। শহীদ হন ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা এর মধ্যে কলারোয়ার বীর সন্তান ৯ জন। আর এ পর্যন্ত কলারোয়ার ৮টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কলারোয়া হাইস্কুল ফুটবল ময়দানের পার্শ্বে অবস্থিত গণকবরে শায়িত রয়েছেন গোপালগঞ্জ জেলার অধিবাসী শহীদ মুন্সী সাহেব আলী, মুন্সী মহসীন আলী, সুভাষ চন্দ্র, শিশির চন্দ্র, ও মনোরঞ্জন সহ নাম না জানা আরো অনেকে।

দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে কলারোয়ায় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয় ৬টি। প্রতিটি যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে পাকবাহিনীকে পরাস্থ করে। কলারোয়া অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে শতাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত প্রবাসী সংগ্রাম পরিষদ। প্রবাসী সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন এমসিএ প্রয়াত মমতাজ আহম্মেদ, প্রয়াত ভাষা সৈনিক শেখ আমানুল্যাহ, সাবেক সংসদ সদস্য বি,এম নজরুল ইসলাম, প্রয়াত মোসলেম উদ্দীন, স্বর্গীয় শ্যামপদ শেঠ, প্রয়াত ইনতাজ আহম্মেদ, প্রয়াত মোছলদ্দীন গাইন, প্রয়াত ডাঃ আহম্মদ আলী প্রমুখ। কলারোয়া এলাকা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সেক্টরের অধীনে।

পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম যুদ্ধ পরিচালনা করেন কলারোয়ার দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসলেম উদ্দীন ও আব্দুল গফ্ফার। এই দুই যুদ্ধকালিন কমান্ডারের নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন কলারোয়ার বীর সন্তান সৈয়দ আলী, গোলাম মোস্তফা, আবুল হোসেন, আঃ রউফ, আনোয়ার হোসেন, কার্ত্তীক চন্দ্র, মালেক সহ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা। সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে সংগঠিত রক্তক্ষয়ী ওই যুদ্ধে ৬ শতাধিক পাকিস্থানী সেনা নিহত হয়। কলারোয়ায় পাক হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি বড় ধরনের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধেই ২৯ জন পাকিস্থানী সেনা নিহত হয়।

শহীদ হয় ১৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর কলারোয়ার সীমান্ত এলাকা কাঁকডাঙ্গা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনের মুখে হানাদাররা কাঁকডাঙ্গা ও দমদম ঘাঁটি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। এ ভাবে দীর্ঘ ৯ মাস কলারোয়ার বিভিন্ন স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনে অবশেষে ৬ ডিসেম্বর পাকিস্থানী সেনারা কলারোয়া ছেড়ে পালিয়ে গেলে বীর মুক্তিযোদ্ধারা কলারোয়া মুক্ত করে স্বাধীন দেশের লাল-সবুজের পতাকা (জাতীয়) উত্তোলন করেন। এই খুশির দিনে কলারোয়ার বিভিন্ন এলাকার মুক্তিকামী মানুষ আনন্দ, উল্লাস প্রকাশের মধ্য দিয়ে মুক্ত জীবনের বিজয়ের প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করেন।

উল্লেখ্য, পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালনের লক্ষ্যে কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা যায়।

একই রকম সংবাদ সমূহ

কলারোয়ায় বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান সাবুর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ানুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিনিধি: কলারোয়ায় বিএনপি নেতা প্রয়াত মাহফুজুর রহমান সাবুর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালনবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে ১৭ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

সাতক্ষীরা ও কলারোয়া সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সতেরো লক্ষাধিকবিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরার গ্রামীন উন্নয়নে ৩৬৮৮ কোটি টাকার প্রকল্প

রাসেল হোসেন: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগেরবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ার ধানদিয়ায় ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের শেষ খেলায় সরসকাটি জয়ী
  • সাতক্ষীরায় জুয়ার আসর থেকে ৯ জুয়াড়িকে আটক করলো যৌথবাহিনী
  • কলারোয়ায় ক্রীড়া সংগঠক বিএম আ. রশিদ কচির স্মরণ সভা ও দোয়ানুষ্ঠান
  • কলারোয়া শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের ২৫ বছর পূর্তিতে রজত জয়ন্তী উদযাপন
  • সাতক্ষীরা সদর বল্লী ইউনিয়নে ছাত্রশিবিরের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
  • ঈদুল আযহা ত্যাগ-উৎসর্গের অঙ্গীকার ও পশুত্বের কোরবানি
  • কলারোয়ায় কোরবানীর পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য বিনামূল্যে লবণ বিতরণ
  • কলারোয়া বেত্রবতী হাইস্কুলে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত
  • কলারোয়া সীমান্তে ১৪ লাখ টাকার ভারতীয় ওষুধসামগ্রী ও শাড়ি উদ্ধার
  • কলারোয়া সীমান্তে ৬ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • কলারোয়া শিশু ল্যাবরেটরী স্কুলের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
  • কলারোয়ায় প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সেমিনার ও প্রদর্শনীর সমাপ্তি