খালেদাকে বিদেশে নেয়ার আবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত


দেশে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার আবেদন বিএনপির রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (৯ মে) দুপুরে ঢাকার মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সায়েদাবাদের আর কে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হোক, সেটিই আমরা চাই এবং এজন্য মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, বেগম জিয়া দ্রুত আরোগ্যলাভ করছেন, এটি অত্যন্ত সুখবর।
খালেদা জিয়া দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা পাচ্ছেন এবং এটি নিশ্চিত করতে সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধার ফলে ইতোমধ্যে তার করোনা নেগেটিভ এসেছে। এজন্য চিকিৎসকদেরও ধন্যবাদ জানাই।
কিন্তু এরপরও বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার জন্য বিএনপির আবেদন-নিবেদনের হেতু বোধগম্য নয়, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে, কারণ তিনি এখানে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা পজিটিভ কোনো রোগীকে অন্য কোনো দেশ নিচ্ছে না এবং নেগেটিভ হওয়ার পরও বেশ কিছুদিন যে নানা শারীরিক সমস্যা থাকে, তা আমার করোনা হয়েছিল বলে আমি জানি, এগুলো স্বাভাবিক। বেগম জিয়াকে এখন বিদেশে নয়, দেশেই তার সেবা-শুশ্রূষা অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সে কারণে বেগম জিয়াকে তাদের (বিএনপির) বিদেশে নিয়ে যাওয়ার আবেদনের উদ্দেশ্য চিকিৎসা নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বলেই আমার মনে হয়।
স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন টয়েলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবদুল গণি ও স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ।
এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় পাঁচশ পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
