খালেদা জিয়ার অবস্থা এখন স্থিতিশীল : চিকিৎসক


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের একজন দায়িত্বশীল চিকিৎসক।
শুক্রবার (৭ মে) তিনি জানান, খালেদা জিয়াকে অক্সিজেন, এন্টিবায়োটিক ও ইনসুলিন দেয়া হচ্ছে।
গত ১০ এপ্রিল বেগম জিয়া করোনায় আক্রান্ত হলেও, কোভিড-১৯-এর কোনো উপসর্গ ছিল না বলে জানিয়েছিল তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। এরপর ১৫ এপ্রিল তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলেও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করার পর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
প্রথমবার পজিটিভ হওয়ার ১৪ দিনের মাথায় ২৪ এপ্রিল আবারও করোনা টেস্ট করানো হলে কোভিড পজিটিভই থাকে বেগম জিয়ার। এর তিন দিন পর অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল আবারও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নেয়া হয় একই হাসপাতাল এভারকেয়ারে।
চিকিৎসকদের পরামর্শে সেখানেই নন-কোভিড ইউনিটে ভর্তি করা হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর গত ৩ মে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে নেয়া হয় তাকে। সেদিন থেকেই তিনি সিসিইউতেই আছেন।
এদিকে, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার ব্যাপারে করা আবেদন এখনও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকেল ৩টার দিকে আইনমন্ত্রীর বাসা রাজধানীর বনানীতে ফাইল নিয়ে যাওয়ার সময় আইন সচিব গোলাম সারওয়ার বলেছিলেন, চিকিৎসার জন্য কোন দেশে নিতে আবেদন করা হয়েছে তা চিঠিতে উল্লেখ করা নেই।
এর আগে, দুপুরে রাজধানীর গুলশানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘সরকার এসব বিষয় মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। প্রধানমন্ত্রীও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে তার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্ত করে দিয়েছেন। সেটা কিন্তু মানবিক দিক থেকে দেখা হয়েছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে ৪০১ ধারা মোতাবেক দুই শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই ধারার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। এটা নির্বাহী আদেশে হয়েছে। ফলে এখন আদালতের কিছু করার নেই। এখন দেখতে হবে ৪০১ ধারা শিথিল করার কোনো সুযোগ আছে কি না।’
সূত্র: সময়নিউজ

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
