জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা সহনীয়, শঙ্কা নেই: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা ‘সহনীয়’ ছিল বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
তিনি বলেছেন, রোববার (১৪ মে) দুপুর ২টার মধ্যে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বেলা ৩টার মধ্যে পুরো ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে চলে যাবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সকাল ৬টা থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও মিয়ানমারের সিত্ত উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এখনও সেটি অতিক্রম করছে। বিকালে এটি উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের দিকে অগ্রসরমান হবে। এখন ঝড় ৫০ থেকে ৬৮ কিলোমিটার গতিতে হচ্ছে। যেহেতু সকাল থেকে ভাটা শুরু হয়েছে তাই জলোচ্ছ্বাসের (বড়) শঙ্কা নাই, মাত্রাটাও সহনীয়।
উপকূলীয় এলাকায় এ পর্যন্ত সাড়ে সাত লাখের বেশি মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত আছে।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ না পাওয়ার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেন্ট মার্টিনে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে ৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া কক্সবাজারে ৫৭৬টি কেন্দ্রে ২ লাখের বেশি, চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৪ আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সন্দ্বীপ, সুবর্ণচরের মানুষকেও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)