শনিবার, জুলাই ৫, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ : ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী সমাবেশে জনতার ঢল, টাঙানো হলো শত শত তাঁবু

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে তিস্তাপাড়ের ১১ পয়েন্টে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বাস, ট্রাক, মিনিট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে আসতে শুরু করে হাজারো মানুষ। কেউ কেউ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন পায়ে হেঁটে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষকে এ আন্দোলনে যোগ দিতে দেখা গেছে। পাল্লা দিয়ে যুক্ত হয়েছেন নারীরাও।

এসময় তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তরের ১১টি স্থানে অভিনব প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বিএনপির ঘোষিত এই কর্মসূচিতে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে তিস্তার দুই পাড়। সোমাবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন হওয়া এ কর্মসূচি চলবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত। আন্দোলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীরাও যুক্ত হয়েছেন।

বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানান, এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে শত শত তাঁবু। যেখানে মঙ্গলবার রাতে রাত্রিযাপন করবেন আন্দোলনে যুক্ত হওয়া হাজারো মানুষ।

আন্দোলনকারীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত উজানে বাঁধ নির্মাণ করায় তিস্তার পানির প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে, আর এর ফলে বাংলাদেশের কৃষি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা না পেয়ে হাজার হাজার কৃষক ও সাধারণ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়ছেন। ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে লাখ লাখ মানুষকে দুর্দশার মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

আন্দোলনে যুক্ত হওয়া কৃষক মো. আব্দুল সামাদ বলেন,‘ভারতের আগ্রাসন রুখতে এখনই আমাদের সোচ্চার হতে হবে, নইলে ভবিষ্যৎ আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।’

আন্দোলনে আসা শিক্ষার্থী কাইয়ুম হোসেন বলেন, ‘শুকনা মৌসুমে আমরা ন্যায্য পানি পাচ্ছি না। যখন আমাদের পানি প্রয়োজন হয় না তখন ইন্ডিয়া আমাদের পানি দিয়ে প্লাবিত করে দেয়। আন্দোলন করার একটাই উদ্দেশ্য হলো, আমাদের পানির দরকার।’

মূলত তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিশ্ব জনমত গঠনে দুদিন ব্যাপী এ অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি। কর্মসূচি ঘিরে নীলফামারী থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত ১১টি স্থানে মঞ্চ ও তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টায় তিস্তা পাড়ের প্রধান সমাবেশে উপস্থিত হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন ঘোষণা করেন। তাছাড়া দুই দিন ব্যাপী প্রতিটি স্থানে সরাসরি উপস্থিত থাকবেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। তারা সেখানে অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেবেন। মঙ্গলবার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। সেখানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

একই রকম সংবাদ সমূহ

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দায়িত্ব অন্তবর্তী সরকারকেই নিতে হবে

দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার, আহত যোদ্ধাদের দায়িত্ব নেওয়া ওবিস্তারিত পড়ুন

৫ আগস্ট ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’, সাধারণ ছুটি ঘোষণা

৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করে ওই দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণাবিস্তারিত পড়ুন

ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় জাতিসংঘের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মিথ্যা তথ্য প্রতিরোধ ও নৈতিক মান বজায়বিস্তারিত পড়ুন

  • ২০১৮’র প্রহসনের নির্বাচনের আগে গোপন বৈঠক হয় যেখানে
  • সংসদ নির্বাচনে ৪.৮ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান
  • ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর কোনো মামলায় প্রথম সাজা শেখ হাসিনার
  • ২০১৮ সংসদ নির্বাচন : রাতের ভোটের দায় স্বীকার করে নুরুল হুদার জবানবন্দি
  • ফুল গিয়ারে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: সিইসি
  • সেই একান্ত বৈঠকে কী বলেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা, জানালেন সিইসি
  • জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গু*লি ছোড়া হয়
  • ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ চালু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
  • ‘আ.লীগ কখনই শোধরাবে না, সুযোগ পেলে আগের চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে’
  • জুলাইকে গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করার আহবান প্রধান উপদেষ্টার
  • নির্বাচনী বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
  • কর্মস্থল থেকে উধাও : চট্টগ্রামের সাবেক ডিআইজিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত