বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

জাতীয় পাখি দোয়েল বিলুপ্তির পথে

বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েল আজ বিলুপ্তির পথে! দুই টাকার কাগজের নোটে রয়েছে জাতীয় পাখি দোয়েলের ছবি। মাঠে-ঘাটে, বনে- জঙ্গলে,গাছে গাছে একসময় জাতীয় পাখি দোয়েলসহ নানা ধরনের পাখি দেখা গেলেও কালের আবর্তে এখন আর চিরচেনা সেই পাখি দেখা যায় না। পাখিদের কলরবে মুখোরিত গ্রামের মেঠো পথ এখন পাখি শূন্য হতে চলছে।

বনে জঙ্গলে গাছে পাখি দেখার সেই অপরূপ দৃশ্যপট পাল্টে যাচ্ছে। দুস্কর হয়ে পড়েছে পাখির দেখা। বনাঞ্চলের পরিবেশ দূষণ, নির্বিচারে গাছ কাটা, জমিতে কিটনাশকের যথেচ্ছা ব্যবহার, পাখির বিচরণ ক্ষেত্র ও খাদ্য সংকট আর জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে বিলুপ্তির পথে দোয়েলসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখি। গত কয়েক বছর আগেও মানুষের ঘুম ভাঙতো পাখির ডাকে। তখন বোঝা যেতো ভোর হয়েছে। পাখির কলকাকলীই বলে দিতো যে, এখন ঘুম থেকে উঠতে হবে। প্রতিটি বাঁশঝাড়ই পাখির ডাকে মুখোরিত থাকতো এবং বাঁশঝাড়ের পার্শ্বে বসবাসরত মানুষদের ঘুম ভাঙতো পাখির ডাকে।

কিন্তু এখন যেন সেই পাখির ডাক হারিয়ে গেছে, এখন আর গাছ গাছালিতে পাখির ডাক নেই। কয়েকজন বয়স্কদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দোয়েল, টিয়া, ময়না, কোকিল, শালিক, চড়ুইসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির পাখি গ্রামাঞ্চলের বিলে-ঝিলে, ঝোপে-ঝাড়ে, গাছের ডালে, বাগানে কিংবা বাড়ির আঙ্গিনার গাছের ডালে বসে তাদের সুরের ধ্বনিতে মুগ্ধ করতো। এই পাখির কিচির-মিচির শীষ দেওয়া শব্দ এখন আর কানে শোনা যায় না। সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় বাঁশ গাছে, আমের ডালে, সজিনা গাছে, বাড়ির ছাদে যে পাখি সব সময় দেখা যেত সেই পাখি এখন আর চোঁখে পড়ে না। তবে কম সংখ্যক টিয়া, ঘুঘু, বক, কাক, মাছরাঙা, ইত্যাদি পাখি শহর, গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেলেও জাতীয় পাখি দোয়েল তেমন আর মানুষের চোখে পড়ে না।পাখি প্রেমী কিছু লোকজন জানান, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আজ বিলুপ্তির পথে।

নতুন প্রজন্ম ঐ পাখি আর তেমন দেখতে পায় না, তাছাড়া শিকারিদের দৌরাত্ম্যের কারণে পাখিশূন্য হয়ে পড়ছে বনাঞ্চল। নির্বিচারে পাখি শিকার হচ্ছে। বন উজাড় করে গাছ কাঁটার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এতে পাখির বিচরণ কমে যাচ্ছে। এখনি পরিবেশ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ না নিলে পাখি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। সচেতন মহল মনে করছেন, নদী ভাঙনের ও অতিরিক্ত জনসংখ্যার ফলে ফসলি জমিতে উঠছে ঘরবাড়ি, তাছাড়া জনসংখ্যার প্রভাবেও কোথাও না কোথাও প্রতিদিন নতুন নতুন ঘরবাড়ি তৈরি হচ্ছে। এতে গাছ কেটে পাখিদের আবাসস্থল ধ্বংস করা হচ্ছে। তাই আগের মতো তেমন পাখির দেখা মিলছে না।

মুনাফার আশায় বনে শিকারিরা বিভিন্ন ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে শিকারের হাত থেকে বাঁচতে জীবন রক্ষার্থে পাখি অন্যত্র চলে যাচ্ছে। পরিশেষে বলা যায়, কৃষি জমিতে মাত্রারিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণসহ, বন ও পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে জাতীয় পাখি দোয়েলসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখির দেখা আর মিলবে না। তাই আমাদের জাতীয় পাখি দোয়েলসহ অন্যান্য জাতের পাখি সংক্ষণের জন্য সামাজিক বানায়ন সৃষ্টি করা জরুরি।

একই রকম সংবাদ সমূহ

‘আমার দুয়ার আপনাদের জন্য সব সময় খোলা’ : শ্রমিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

বিলাসিতা কিছুটা কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিতে শিল্পমালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেনবিস্তারিত পড়ুন

মাশরাফি ঝাঁপিয়ে পড়লেন মধুমতি নদীর পানিতে

নড়াইল জেলাব্যাপী বইছে তীব্র তাপদাহ। ৪১ থেকে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত হয়েবিস্তারিত পড়ুন

আমাদের দেশ আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো : প্রধানমন্ত্রী

শ্রমিক-মালিক সবাইকে সুসম্পর্ক বজায় রেখে উৎপাদন বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বিস্তারিত পড়ুন

  • ‘ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কেউ রাখে না, রাখে একমাত্র বিএমডিসি’
  • শ্রমিকদের দাবি আদায়ের স্লোগানে মুখরিত জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বর
  • বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী
  • ‘নির্বাচনে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না’: সাতক্ষীরায় নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে. আহসান হাবিব খান
  • ২ মে পর্যন্ত পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসার ছুটি বহাল, আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়
  • ৩ যুগে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪৩.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
  • হিট স্ট্রোকে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু
  • দু-তিন দিনের মধ্যে দেশজুড়ে বৃষ্টি হতে পারে
  • হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়লো
  • আ.লীগের ত্রাণবিষয়ক উপ-কমিটির পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ
  • রাত ৮টার মধ্যে শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা
  • দেশের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখছেন শ্রমজীবী নারীরা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী