ফেনী নদীতে বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রী সেতু উদ্বোধন
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন মাইলফলক ফেনী নদীর ওপর নির্মিত প্রথম মৈত্রী সেতু। ত্রিপুরার সাবরুম ও খাগড়াছড়ির রামগড়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুটি উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সকালে ভার্চুয়ালি সেতু উদ্বোধনের পর মোদি বলেন, এ সেতু পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় যোগাযোগের অনন্য মাধ্যম হয়ে দাঁড়াবে। অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক সীমারেখা উন্নয়ন ও বাণিজ্যে বাধা হতে পারে না।
২০১৫ সালের ৬ জুন ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন দুই দেশের মধ্যকার প্রথম মৈত্রী সেতুর। মুজিবশতবর্ষ আর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা সফরে আসার দুই সপ্তাহ আগেই ভিডিও কনফারেন্সে নবনির্মিত এই সেতু খুলে দেয়ার আয়োজন করল ভারত।
মঙ্গলবার (০৯ মার্চ) সকালে ত্রিপুরার সাবরুম ও খাগড়াছড়ির রামগড়ের মধ্যে ফেনী নদীতে নির্মিত এই সেতুটি উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। ভার্চুয়াল উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় ভিডিও বার্তার মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সীমারেখায় আটকে থাকতে পারেনা বাণিজ্য ও উন্নয়ন। এ সেতু আমাদের দু’দেশের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করবে না। ববং ব্যবসা ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা পালন করবে। শুধু চট্টগ্রাম পোর্ট নয় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরও ত্রিপুরাবাসী ব্যবহার করতে পারবে।
এ সময় দিল্লী থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এই সেতুটি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় যোগাযোগের নতুন ধারা উন্মোচন করবে।
ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড ভারতীয় অর্থায়নে এটি নির্মাণ করেছে। এখান থেকে অল্প দূরত্বেই অবস্থিত চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)