বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবো : ছাত্রদলের আবিদ


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন আবিদুল ইসলাম খান। এই পদে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৫,৭০৮) ভোট পেয়েছেন। বুধবার বিকালে ফেসবুকে এক পোস্টে নিজের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরলেন তিনি। আগামী বছরের ডাকসু নির্বাচন কেমন হবে তারও ইঙ্গিত দিলেন আবিদ।
ছাত্রদলের ঢাবি শাখার এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবো, ইনশাআল্লাহ। এর প্রতিফলন আপনারা পরবর্তী ডাকসুতে দেখতে পাবেন। আবিদ আপনাদের কখনো ছেড়ে যাবে না।
আবিদ পোস্টে আরও লেখেন, ক্ষুদ্র জীবনে আমি এতদূর আসবো কোনোদিন ভাবিনি। নির্বাচনের আগের রাতে খালেদ মুহিউদ্দিন ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চাই? আমি কোনো সদুত্তর দিতে পারিনি। আসলে কখনোই জানতাম না নিজেকে কোথায় দেখতে হবে। একের পর এক আন্দোলন-সংগ্রাম এসেছে, নিজেকে রাজপথে সঁপে দিয়েছি। সেই পথই আজ আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে।
তিনি জানান, নির্বাচনের দিন শুরু হয় মিডিয়ার অপপ্রচার দিয়ে। দুপুর থেকে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে একের পর এক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও যথাযথ সিদ্ধান্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসবে বলে তিনি এখনো আশা করছেন।
নিজের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে আবিদ লিখেছেন, মানুষ হিসাবে আমরা কেউ পরিপূর্ণ নই। আমি জানি, আমি আপনাদের জন্য যথেষ্ট কাজ করতে পারিনি। সত্যি বলতে জীবন আমাকে সেই সুযোগটুকুও দেয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মাত্র ২০ দিনের ক্যাম্পেইনে তিনি চেষ্টা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছাতে। তবে সবাইকে ছুঁতে না পারলেও তিনি আশ্বাস দেন, আমার যাত্রা এখানেই শেষ নয়, আমার যাত্রা আরও দীর্ঘ। আমি এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন ছাত্রনেতা।
ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে আবিদ বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে যা কিছু ছিল, তা একজন ছাত্রনেতা হিসেবেই প্রশাসনের কাছ থেকে আদায় করে নিতে তিনি কাজ করবেন। তার ভাষায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির নতুন শুরুটা আমাদের হাত ধরেই হবে। আমরা অতন্দ্র প্রহরী হয়ে রাজপথ পাহারা দেবো। নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবো। ইনশাআল্লাহ, এর প্রতিফলন আপনারা পরবর্তী ডাকসুতে দেখতে পাবেন। আবিদ আপনাদের কখনো ছেড়ে যাবে না।
পরিশেষে তিনি মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের একটি উক্তি উল্লেখ করেন: We must accept finite disappointment, but never lose infinite hope.
বাংলায় এর অর্থ— ‘আমাদের সীমিত হতাশাকে মেনে নিতে হবে, কিন্তু অসীম আশাকে কখনো হারাতে নেই।’
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)

একই রকম সংবাদ সমূহ

ডাকসু নির্বাচনে হেরেও প্রশংসায় ভাসছেন ছাত্রদল নেতা হামিম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাবিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভা অনুষ্ঠিত
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় অনুষ্ঠিতবিস্তারিত পড়ুন

নির্বাচনে সিসিটিভি ও বডিওর্ন ক্যামেরার বিষয়ে ‘করণীয় কিছু’ নেই: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসি
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বা বডিওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারেরবিস্তারিত পড়ুন