বুধবার, জুন ২৬, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বাংলাদেশের রপ্তানি সম্প্রসারণে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে ‘স্বল্পোন্নত’ থেকে ‘উন্নয়নশীল’ দেশে পরিণত হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রায় অংশীদার হিসেবে থাকুন। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট নেশন’ হয়ে উঠতে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করি। এখানে আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং আমাদের রপ্তানি ভিত্তি সম্প্রসারণে আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন।

সোমবার (২৭ মে) সকালে গণভবনে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের এক সভার বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের জন্য প্রধান অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী। উভয় দেশের অনেক ক্ষেত্রেই নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে, বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে। আমাদের যৌথ লক্ষ্য হলো আমাদের জনগণের জন্য পারস্পরিক সুবিধা এবং সমৃদ্ধি অর্জন করা। এটি আমাদের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে আমাদের রপ্তানির বৃহত্তম একক-দেশীয় গন্তব্য, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের বৃহত্তম উৎস এবং জ্ঞান ও প্রযুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। আগামী দিনে এই অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য একটি মসৃণ এবং অনুমানযোগ্য সরবরাহ শৃঙ্খল তৈরির মাধ্যমে আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার হয়ে উঠবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইলস, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও ভারী যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক সার, আইসিটি, সামুদ্রিক সম্পদ এবং চিকিৎসা সরঞ্জামসহ সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলোতে মার্কিন ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল আমাদের দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সব মার্কিন ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগ অন্বেষণ এবং বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ১০০টি ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ (এসইজেড) এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করছে। এরমধ্যে কয়েকটি চালু রয়েছে। আইটি সেক্টরে এক মিলিয়নেরও বেশি ফ্রিল্যান্সিং আইটি পেশাদারসহ, বাংলাদেশ আইটি খাতে বিনিয়োগের জন্য সঠিক গন্তব্য।

শ্রমিকের সহজলভ্যতা এবং বিনিয়োগ পরিবেশের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে প্রতিযোগিতামূলক মজুরিতে তরুণ, দক্ষ এবং প্রাণবন্ত কর্মশক্তি পাওয়ার একটি বিশাল সুবিধা রয়েছে। বাংলাদেশে এই অঞ্চলের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতির মর্যাদা রয়েছে। এছাড়াও, নিশ্চিত থাকুন যে আমরা আমাদের বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের বাজার এবং এর অবস্থান (ভৌগলিক) এটিকে ৩ বিলিয়ন মানুষের বাজারের কেন্দ্রস্থলে রেখেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে এর ক্রমবর্ধমান কানেকটিভিটি বাংলাদেশকে এই অঞ্চল এবং এর বাইরে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের জন্য একটি আদর্শ জায়গা করে তুলেছে। আমাদের ফোকাস এখন শুধু আঞ্চলিক নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গেও অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। এখন বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত। এটা সম্ভব হয়েছে সুশাসন, আইনের শাসন ও স্থিতিশীলতার কারণে; গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিনিয়োগ; নারীর ক্ষমতায়ন এবং আইসিটি, যা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপান্তর ঘটিয়েছে।

গত ১৫ বছরে বেশ কয়েকটি মেগা-অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পদ্মা নদীর ওপর সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল, এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকায় একটি আধুনিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র।

আইনি ও আর্থিক অবকাঠামোও উন্নত করা হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এগুলো আমাদের অভ্যন্তরীণ এবং আঞ্চলিক সংযোগ বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি। বাংলাদেশ এখন ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫তম হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। এই বৃদ্ধি একটি প্রাণবন্ত বেসরকারি খাতের কারণে যেখানে মার্কিন ব্যবসায়গুলোর একটি উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।

সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর তার ব্যক্তিগত উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বহুগুণ বেড়েছে। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিরা বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার বিষয়ে খুবই আগ্রহ প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে তারা কিছু জটিলতার কথা উল্লেখ করে সেগুলো সমাধানের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোস, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অতুল কেশপ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

এবার দিল্লির আদালত থেকে গ্রেফতার হলেন কেজরিওয়াল

আবগারি মামলায় এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাবিস্তারিত পড়ুন

নিত্যপণ্য আমদানিতে ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

নিত্যপণ্য আমদানির জন্য ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি সই হচ্ছে বলেবিস্তারিত পড়ুন

ছ’মাস না পেরোতেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে ফাটল, চুইয়ে পড়ছে পানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উদ্বোধনের পর ৬ মাসও পেরোলো না। প্রথম বর্ষাতেই ‘বিপর্যয়’ ভারতেবিস্তারিত পড়ুন

  • শপথ নিয়েই ফিলিস্তিনের ‘জয়ধ্বনি’, তোপের মুখে ওয়াইসি
  • পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশনে যা বললেন মোদি
  • শেখ হাসিনার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে যে কারণে মোদির ওপর ক্ষুব্ধ মমতা
  • চীনকে ঠেকাতে তিস্তার জন্য বাংলাদেশে দল পাঠাবে ভারত!
  • ভারতীয় গণমাধ্যমে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবর গুরুত্বসহ প্রকাশ
  • বাংলাদেশ-ভারত আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত : প্রধানমন্ত্রী
  • বাংলাদেশকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিলো বিশ্বব্যাংক
  • ভারত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী-বিশ্বস্ত বন্ধু: প্রধানমন্ত্রী
  • তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে আশ্বাস দিলেন মোদি
  • ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীর পদত্যাগ
  • দিল্লিতে হাসিনা-মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ১০ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
  • ভারতের দিল্লিতে একান্ত বৈঠকে মোদি-শেখ হাসিনা