বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

বাংলাদেশে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের চুক্তি

বাংলাদেশের টেলিকমখাতের বিটিএসগুলোতে (বেস ট্রান্সসিভার স্টেশন) ব্যবহারের জন্য লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে হুয়াওয়ে ও ওয়ালটন। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং ও ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম আজ ঢাকায় হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এছাড়া ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, গ্রামীণফোনের টেকনোলজি ডিভিশনের টাওয়ার ইনফ্রার পরিচালক ও প্রধান মো. আব্দুর রায়হান এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক/ক্যারিয়ার সংশ্লিষ্ট প্রায় ৩০ জন প্রতিনিধি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

এই চুক্তির আওতায় ওয়ালটন আগামী সাত মাসের (সম্ভাব্য) মধ্যে টেলিকম লিথিয়াম ব্যাটারি বাংলাদেশে উৎপাদন ও বাজারজাত করবে। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ৮০ হাজার ব্যাটারি উৎপাদনে সক্ষম একটি অত্যাধুনিক ও সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রোডাকশন লাইন তৈরি করার পাশাপাশি সারা দেশে এই ব্যাটারির বিক্রয় ও বিক্রয়-পরবর্তী সেবা পরিচালনা করবে। লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা, ডিজাইনের নির্দেশনা, কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিবে হুয়াওয়ে।

বহু বছর ধরে বিটিএস টাওয়ার ব্যাকআপ পাওয়ারের উৎসের জন্য লেড-এসিড ব্যাটারির উপর নির্ভরশীল। এই ব্যাটারিগুলো লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির মতো পরিবেশবান্ধব নয়। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির চেয়ে লেড ব্যাটারি ৫০% বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে। এছাড়া এগুলো বায়ু ও মাটির দূষণের জন্যও দায়ী। অন্যদিকে লেড-এসিড ব্যাটারির সক্ষমতাও তুলনামূলকভাবে কম। এর কার্যকারিতা মাত্র ৮০-৮৫%। পাশাপাশি স্থায়ীত্ব ও ব্যাটারি এনার্জি ডেনসিটিও কম। বিটিএস-এ এগুলোর জন্য বেশি জায়গা প্রয়োজন হয়।

অপরদিকে, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির কার্যকারিতা প্রায় ১০০%। এই ব্যাটারি যেমন দীর্ঘস্থায়ী, তেমন এর রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনও কম। পুনর্ব্যবহারের ক্ষেত্রেও এগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি পরিবেশবান্ধব। এই কারণে বিটিএস টাওয়ারের ব্যাকআপ পাওয়ার হিসেবে লিথিয়াম ব্যাটারি টেলিকমখাতে ইতোমধ্যেই গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।

তবে বাংলাদেশের বাজারে এখনো নিম্ন মানের নন-ইন্টেলিজেন্ট লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহৃত হচ্ছে। এইসব নন-ইন্টেলিজেন্ট লিথিয়াম ব্যাটারির স্থায়ীত্ব কম এবং রক্ষণাবেক্ষণও বেশ জটিল। এছাড়া এনএমএস (নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-এর মাধ্যমে এসব ব্যাটারির ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। এই ধরনের নন-ইন্টেলিজেন্ট লিথিয়াম ব্যাটারি কোনো সাইট থেকে চুরি হলে টেলিকম অপারেটররা সময়মতো চুরির ঘটনা সনাক্ত করতে পারে না। ফলে সেই সাইটে ব্যাকআপ পাওয়ার থাকে না এবং অনেক সময় সাইটটি বন্ধও হয়ে যায়। এই কারণে সেই এলাকার ব্যবহারকারীরা নেটওয়ার্ক সমস্যার সম্মুখীন হন।

হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের চুক্তি এবং আগামীতে উৎপাদিত উচ্চমানের ইন্টেলিজেন্ট ব্যাটারি টেলিকম শিল্পে খরচ সাশ্রয়, পরিচালনা দক্ষতা বৃদ্ধি ও দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে। এছাড়া এর ব্যবহার বাংলাদেশকে বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, “বর্তমানে সারাবিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তির একটি বিপ্লব চলছে। ক্রমশ জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে সোলার ফটোভোলটাইক ও বায়ুচালিত শক্তি মতো নবায়নযোগ্য শক্তির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে উন্নয়নের জন্য লিথিয়াম এনার্জি স্টোরেজ প্রযুক্তি প্রয়োজন অনস্বীকার্য। হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের মধ্যে আজকের চুক্তিটি এই প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা বিশ্বাস করি, উভয়পক্ষের এই সহযোগিতা বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান তৈরি ও রপ্তানি পরিসর বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের জনগণকে উপকৃত করবে।”

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি বলেন, “আমরা সবসময় বিশ্বাস করি যে, উদ্ভাবনই অগ্রগতির চাবিকাঠি। এটি আমাদের প্রতিটি পণ্য, সল্যুশন ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপের পিছনে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। আমাদের সাম্প্রতিক উদ্যোগ হলো একটি অত্যাধুনিক লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদন কারখানা স্থাপন। এটি বাংলাদেশের টেলিকম শিল্পে বর্তমানে ব্যবহৃত লেড অ্যাসিড ব্যাটারির উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেবে, যার ফলে সামগ্রিকভাবে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় হ্রাস পাবে। এই প্রকল্পটি শুধুই একটি ব্যবসায়িক উদ্যোগ নয়। সবুজ পৃথিবী রক্ষার যে অনুপ্রেরণা নিয়ে ওয়ালটন কাজ করে, এই চুক্তিটি সেই লক্ষ্যের দিকে আরেকটি পদক্ষেপ। হুয়াওয়ের বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তির সাহায্যে লিথিয়াম ব্যাটারি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে আমরা একটি সবুজ দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে পারবো।

হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, “হুয়াওয়ের লিথিয়াম ব্যাটারি ১৭০টির বেশি দেশে ৩৪০টিরও বেশি অপারেটর ব্যবহার করছে। অর্থাৎ, বিশ্বের টেলিকম খাতে ব্যবহৃত শক্তির এক-তৃতীয়াংশের জন্য এই ব্যাটারি ব্যবহৃত হচ্ছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে হুয়াওয়ের লিথিয়াম ব্যাটারির বাজারের শেয়ার ৩৫ শতাংশ। অপরদিকে, ওয়ালটন বাংলাদেশের সর্বাধুনিক বহুজাতিক ব্র্যান্ড, যা ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি উৎপাদনে বিশেষভাবে দক্ষ। বাংলাদেশে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনের জন্য ওয়ালটনের সাথে আমাদের একটি কৌশলগত চুক্তি হয়েছে।

একই রকম সংবাদ সমূহ

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন জয়শঙ্কর

ছাত্র-জনতার তুমুল বিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হনবিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশকে আরো ২ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করতে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে নতুনবিস্তারিত পড়ুন

বাংলাদেশকে ৫ বিলিয়ন ডলার দেবে ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক

বাংলাদেশকে আগামী তিন বছরের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে ইসলামিকবিস্তারিত পড়ুন

  • বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি: পরিবেশ উপদেষ্টা
  • দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আতিশি
  • কলকাতায় চিকিৎসক হত্যার মামলায় আরজি করের সাবেক অধ্যক্ষ ও ওসি গ্রেফতার
  • পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • ভারতে গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট, বাংলাদেশি যুবকের ভিসা বাতিল, পাঠালো ফেরত
  • মুরগি-ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করলো সরকার
  • সরকারি অর্থের অপচয় কমানোর আহবান অর্থ উপদেষ্টার
  • পেঁয়াজ রপ্তানিতে বিধিনিষেধ শিথিল ভারতের, সর্বনিম্ন মূল্যের শর্ত প্রত্যাহার, কমেছে শুল্কও
  • হাসিনার ফ্লাইট যেভাবে রাডারের বাইরে রাখা হয়েছিলো
  • কর্মবিরতিতে ২৯ রোগীর মৃত্যু, ক্ষতিপূরণ দেবেন মমতা
  • ভারতে ইলিশ পাঠাতে পারবো না, আমাদের জনগণ খাবে : মৎস্য উপদেষ্টা
  • জামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল