বৃষ্টি বেড়ে আরও দুদিন থাকতে পারে, ৩ নম্বর সংকেত বহাল থাকছে
নিম্নচাপটি ভারতের মধ্যপ্রদেশে অবস্থান করছে। এটি এখন ক্রমেই দুর্বল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বৃষ্টির প্রবণতা দক্ষিণাঞ্চলে বেশি।
এর প্রভাবে আগামী দুদিন দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস।
এছাড়া সমুদ্রবন্দরগুলোতে সোমবারও (১২ সেপ্টেম্বর) তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে উপকূলের নিম্নাঞ্চল। জলোচ্ছ্বাসও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টি হয়েছে। তবে উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা কম। এসময় সবচেয়ে বেশি ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীতে। ঢাকায় ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে সোমবার সকাল ৬টায় দক্ষিণ মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী দুদিন পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।
সবশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি প্রতিবেদনে অধিদপ্তর জানিয়েছে, স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিনি নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
এছাড়া রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)