রবিবার, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

দায়িত্বে বর্ষপূর্তি..

মানুষের কাছের মানুষ কলারোয়ার মানবিক ইউএনও জহুরুল ইসলাম

তার প্রথম পরিচয় তিনি জনবান্ধব ও মানবিক। তিনি জনপ্রতিনিধি নন, তবে জনপ্রতিনিধির মতোই জনপ্রিয়। তিনি একাধারে উপজেলার শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে। বিভিন্ন ইউপিতে চেয়ারম্যান না থাকার কারণে সেখানেও জনপ্রতিনিধির মতোই কর্মযজ্ঞতা চালাচ্ছেন। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহুরুল ইসলাম। ১১ সেপ্টেম্বর কলারোয়ার ইউএনও হিসেবে তাঁর একবছর পূর্ণ হলো। ২০২৪ সালে দেশের পটপরিবর্তনের পর ১১ সেপ্টেম্বর তিনি কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেসময়ের ভঙ্গুর ও টালমাটাল প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে নিজ হাতে স্থিতিশীল অবস্থায় ফেরান। অল্পদিনেই সফল হন। দল-মত নির্বিশেষে সকলের কাছে হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় ও মানবিক একজন ব্যক্তি হিসেবে।

দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কর্মদক্ষতা, মানবিকতা ও জনবান্ধব কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষের কাছের মানুষ ও একজন জনপ্রিয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি উন্নয়ন ও জনসেবাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করেন। গেলো এক বছরে উপজেলা ও পৌরসভাজুড়ে কয়েক কোটির টাকার উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করেছেন।

অতিসম্প্রতি খুলনার বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন কলারোয়ার ইউএনও জহুরুল ইসলাম। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ ক্যাটাগরিতে তিনি বিভাগের শ্রেষ্ঠ হয়েছেন।

স্থানীয়রা কলারোয়া নিউজকে জানান, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, উপজেলার রাস্তাঘাট সংস্কার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন, মসজিদ, মন্দির ও মাদরাসায় সরকারি সহায়তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন। উপজেলা অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পরামর্শ বা প্রয়োজনীয় দাবি দ্রæত সময়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এতে একদিকে যেমন মানুষের ভোগান্তি কমেছে, অন্যদিকে বেড়েছে প্রশাসনের প্রতি আস্থা।
তারা জানান, শুধু প্রশাসনিক দায়িত্ব নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেও তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তিনি অসহায়, গরিব ও দু:স্থ মানুষের জন্য নিয়মিতভাবে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করেন। তিনি জনবান্ধব, সৎ, নিষ্ঠাবান এবং দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।

খোঁজ নিয়ে কলারোয়া নিউজ জানাতে পেরেছে, যশোর সদরের সন্তান জহুরুল ইসলাম দুই সন্তানের জনক। পরিবার নিয়ে কলারোয়ার ইউএনও’র সরকারি বাসভবনেই বসবাস করেন। মিশে থাকেন কলারোয়ার সাধারণ মানুষের সাথে। ভোর থেকে রাত প্রায় ১০টা পর্যন্ত চলে তার প্রশাসনিক কর্মযজ্ঞতা। ভোর বেলা মর্নিওয়াকে বেরিয়ে হাইস্কুল ফুটবল মাঠে খেলা ও পৌরসদরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট থাকেন। অফিসিয়াল সময়ে সরকারি কাজের বাইরেও ছুটে চলেন পৌরসভা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালনে। অফিস সময়ের শেষেও রাত প্রায় ৯/১০টা পর্যন্ত নিয়মিত নিজ দপ্তরে বসে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার নানান কার্যাদি সম্পন্ন করে থাকেন। এরই মাঝে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, নানান শ্রেণি-পেশা আর সাধারণ মানুষের প্রয়োজন মেটান সাধ্যমতো। তার সরকারি অফিসে যাতায়াতে নেই কোন বাঁধা। সাধারণ মানুষের আনাগোণায় প্রায়ই তার দপ্তর পরিণত হয় একজন জনপ্রতিনিধির অফিস হিসেবে।
সবদিক দিয়ে নিখুঁতভাবে কার্যসম্পাদনে সিদ্ধ হস্তের অধিকারী হওয়ায় উপজেলার শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা যে কতটা জনপ্রিয় ও মানবিক হতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ইউএনও জহুরুল ইসলাম, যে তাকে চেনেন প্রায় সকলেই স্বীকার করেন।

উপজেলা ও পৌর প্রশাসন সূত্র কলারোয়া নিউজকে জানায়, বিগত এক বছরে ইউএনও জহুরুল ইসলামের প্রচেষ্টায় কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা গ্রামকে সাতক্ষীরা জেলার প্রথম আদর্শ গ্রাম ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের মিট দ্যা স্টুডেন্স অনুষ্ঠানে মতবিনিময় করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, শিক্ষার মানোন্নয়ন বিভিন্ন আলোচনা ও দিকনির্দেশনা প্রদান, বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার হল পরিদর্শন ও নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ, সুরক্ষা সামগ্রি, সিলিং ফ্যান, ক্রীড়া সামগ্রি ইত্যাদি বিতরণ করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা, হেলাতলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ভিডবিøউবি প্রকল্প বাস্তবায়ন, প্রতিবন্ধি শিশু ও ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার প্রদান, বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষ রোপণ ও গাছের চারা বিতরণ, ক্লাইমেট মেলা, কৃষি মেলার মাধ্যমে কৃষিতে উদ্বুদ্ধকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে শুকনা খাবার, টিন, নগদ অর্থ ও চেক বিতরণ, মশক নিধণে নানান উদ্যোগ গ্রহণ, উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য অবমুক্তকরণ, ভূমি বিষয়ক নানান জনসচেতনতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সমবায় বিভাগের সচিব, যুগ্ম সচিবের উপস্থিতিতে দুগ্ধ সমবায় কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও কয়েক শতাধিক ব্যক্তিকে গাভী পালনে প্রশিক্ষণ ও কয়েক কোটি টাকার স্বল্পসুদে ঋণ ও অনুদান বিতরণ, জয়নগর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন জায়গায় খাস জমি উদ্ধার, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মাঝে জনসচেতনতা তৈরিতে উঠান বৈঠক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে মাদকসেবিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা, জরিমানা ও কারাদন্ড প্রদান, বিভিন্ন ইটভাটা, দোকানপাট, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, অবৈধ জাল, নির্ধারিত সময়ের আগেই অপরিপক্ক আম বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা-সরঞ্জমাদী নিয়ন্ত্রণ ও উচ্ছেদে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ায় মানুষের যাতায়াতের জন্য বেত্রবতী নদীর উপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়াও কলারোয়া পৌরসভায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন, মির্জাপুর, তুলশীডাঙ্গা, মুরারীকাটি, গদখালী ও ঝিকরায় নতুন ড্রেন নির্মান, ড্রেন সংষ্কার ও নিয়মিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিষ্কার করা, জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন, সচেতনতামূলক মতবিনিময়, স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন খাল পরিষ্কার, খাল খননপূর্বক স্থায়ী জলাবদ্ধতা দূরিকরণ, বিভিন্ন স্থানে কার্লভার্ট নির্মাণ ও রাস্তা সংষ্কার, কলারোয়া পৌরসভার মুরারীকাটি সংলগ্ন বেত্রবতী নদীর উপর কাঠের ব্রিজ নির্মাণ, কলারোয়া বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও স্থানে অবৈধ দখল উচ্ছেদসহ নানান উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন ইউএনও জহুরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ইউএনও জহুরুল ইসলাম কলারোয়া নিউজকে বলেন, জনগণের সেবক হিসেবে নিজেকে সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। কলারোয়ার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। আমার কাছে সবচেয়ে বড় সফলতা মনে হয়েছে জলাবদ্ধতা দূরীকরণের মাধ্যমে অনেক অনাবাদী জমি চাষের আওতায় এসেছে। শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংষ্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করেছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উত্তোরত্তর উন্নতি হচ্ছে। পৌরসভার বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ চলমান। হাসপাতাল রোড, বটতলা হতে মুরারীকাটি রোড, কুশোডাঙ্গা অভিমুখি রোড, শেখ আমানুল্লাহ কলেজের পাশে আরসিসি রোড, সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ কার্যক্রম চলমান। অচিরেই আরো উন্নয়ন কাজ দৃশ্যমান হবে। পৌরসভার সৌন্দর্যবর্ধনের কাজও চলমান।
তিঁনি আগামি পথচলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

শিক্ষকদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি সাবেক এমপি হাবিবের

সেলিম হায়দার, তালা (সাতক্ষীরা): আমি এ এলাকায় কাজ করতে চাই। আমার দ্বারাবিস্তারিত পড়ুন

কলারোয়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন,বিস্তারিত পড়ুন

সাতক্ষীরায় ডাকসু’র পক্ষে জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ

দেবহাটা প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)তে নবনির্বাচিত বিজয়ীদের পক্ষ থেকেবিস্তারিত পড়ুন

  • কলারোয়ায় আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর আছে, চলাচলের রাস্তা নেই, নেই কবরস্থানও
  • জামায়াতে ইসলামির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে: ইজ্জত উল্লাহ
  • কলারোয়ায় ব্র্যাকের আয়োজনে জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য প্রকল্পের কর্মশালা
  • সাতক্ষীরায় ৯-১৫ বছর বয়সী ৫লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেয়া হবে
  • কলারোয়ায় কৃষি ব্যাংকের তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে গ্রাহক সমাবেশ
  • বেত্রবতী হাইস্কুলে শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা
  • কলারোয়ার নবাগত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে শুভেচ্ছা জানালেন শিক্ষকরা
  • কলারোয়ার কেরালকাতায় ডিডিপি’র মৌলিক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
  • কলারোয়ায় ‘জীবন পরিবর্তনে হজ্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা ও হজ্ব ওরিয়েন্টেশন
  • কলারোয়া বেত্রবতী হাইস্কুলে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী(সাঃ)উদযাপন
  • কলারোয়ার কেঁড়াগাছিতে ফুটবল টুর্নামেন্টে স্বাগতিকরা চ্যাম্পিয়ন