মার্কিন নির্বাচন: দুই দলের প্রতীক গাধা ও হাতি হলো যেভাবে


আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩ নভেম্বর (মঙ্গলবার)। এরই মধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচনের মাঠ, চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টির প্রতীক হাতি ও ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রতীক গাধা।
ডেমোক্র্যাটদের গাধা হলো সহিষ্ণুতার প্রতীক আর রিপাবলিকানদের হাতি হলো বল ও শক্তির প্রতীক। মার্কিন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রতীক আঁকেন শিল্পী থমাস ন্যাস্ট। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের প্রতীক হাতি ও গাধাকে কেন বেছে নেওয়া হলো, এই প্রশ্ন অনেকেরই আছে।
১৫০ বছর আগে দেশটির রাজনীতিতে কার্টুন ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গাধা প্রতীকটি প্রথম ব্যবহার করেন আমেরিকার সপ্তম প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসন। নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাকে ‘জ্যাকঅ্যাস’ অর্থাৎ গাধা বলে ডাকা শুরু করেন। বিদ্রূপ করে ডাকা হলেও জ্যাকসন নামটি খুব পছন্দ করেন এবং বিরোধী দলের অপপ্রচারের সুযোগকেই কাজে লাগান নিজের প্রচার হিসেবে। আর গাধাকে তিনি নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেন।
তখন কার্টুনশিল্পী থমাস ন্যাস্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের মাথায় একটি গাধার (জ্যাকঅ্যাস) শরীরের ওপর বসিয়ে কার্টুন আকেন। পরবর্তী সময়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অন্য নেতাদেরও প্রতীক হয়ে ওঠে গাধা। সেই থেকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির জাতীয় প্রতীক হিসেবে গাধা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
অন্যদিকে ১৮৭৪ সালে থমাস ন্যাস্ট হাতিকে রিপাবলিকানদের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন। তিনি তার কার্টুনে দেখান, সিংহের চামড়া পিঠে চাপিয়ে একটি গাধা বনের সব প্রাণীকে ভয় দেখাচ্ছে।
সিংহের ছদ্দবেশী সেই গাধাকে দেখে সবাই ভয়ে পালাচ্ছে। কিন্তু সবাই ভয়ে পালালেও বনে একটি হাতি স্থির ও অচঞ্চল গাধাটির সামনে। হাতির এই নির্ভীক বিষয়টিই তুলে ধরেন কার্টুনশিল্পী।
থমাস ন্যাস্টের এমন অর্থবহ কার্টুন দারুণ পছন্দ হয় রিপাবলিকানদের। আর হাতির সেই কার্টুন লুফে নেয় রিপাবলিকানরা। আর সেই থেকে হাতি হয়ে ওঠে রিপাবলিকান দলের প্রতীক।

কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)
